নিজস্ব প্রতিবেদক: কাজাখস্তান সরকার প্রতিবছর ব্যাচেলর, মাস্টার্স ও পিএইচডি করার জন্য বছরে মোট ৫৫০ জন বিদেশি শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেয়। এর মধ্যে ওআইসিভুক্ত দেশের জন্য আছে ১০০ বৃত্তি।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ দৃশ্যমান
কাজাখস্তানের শিক্ষার মান সমৃদ্ধ। সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। দেশটির উল্লেখযোগ্য দিক হলো তাদের শিক্ষা প্রণালি। দেশটির সরকার প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা উন্নত শিক্ষা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
কাজাখস্তানে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ও অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য ভালো সুযোগ দেয়। দেশটির প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে আধুনিক ক্লাসরুম, স্বাস্থ্যসেবা, হোস্টেল ও আধুনিক গবেষণাগার। দেশটিতে মোট ৩৬ টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভালো কাজের প্রশংসা হওয়া উচিত
কাজাখস্তান সরকার এ বছর স্নাতক, মাস্টার্স, পিএইচডি পর্যায়ে মোট ৫৫০ টি স্কলারশিপ দিচ্ছে। এর মধ্যে স্নাতক পর্যায়ে ৪৯০ টি, মাস্টার্স পর্যায়ে ৫০ টি ও পিএইচডি পর্যায়ে ১০ টি।
পড়াশোনার মাধ্যম:
কাজাখস্তানে সাধারণত ৩ টি ভাষায় পড়াশোনা করানো হয়ে থাকে। রাশিয়ান, কাজাখ ও ইংরেজি। তবে এখানে এক বছর রাশিয়ান ভাষা প্রোগ্রাম করানো হয়ে থাকে চলাফেরা, চাকরি ও সংস্কৃতি বোঝার জন্য।
আরও পড়ুন: ছবি অনেক কথা বলে
সুবিধা-অসুবিধা:
১) সম্পূর্ণ টিউশন ফি ফ্রি।
২) প্রতি মাসে শিক্ষা ভাতা দেওয়া হবে। এটা ডিগ্রির ওপর নির্ভর করে।
৩) থাকার খরচ, ভিসা, যাতায়াত খরচ ও মেডিকেল ইনস্যুরেন্স কাভার করবে না।
৪) বাংলাদেশি ১০ টাকার বাস কার্ড দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি শুরু
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
১) আবেদন ফরম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
২) পাসপোর্ট।
৩) সার্টিফিকেট ও মার্কশিট।
৪) ২৫০ শব্দের একটা রচনা (যেটা লিখে দিতে হয়)।
৫) মেডিকেল সার্টিফিকেট।
৬) দুটি রেকমেন্ডেশন লেটার।
৭) ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট।
৮) আইএলটিএসে ৫.৫ পেতে হবে।
৯) টোয়েফল আইবিটি: ৪৬১।
১০) টোয়েফল পিবিটি: ৪৫৩।
১১) বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইনভাইটেশন লেটার (যদি থাকে)। (অর্নাসের ক্ষেত্রে ভাষা দক্ষতার কোনো সার্টিফিকেট লাগে না। অন্য ক্ষেত্রে লাগবে।)
আরও পড়ুন: র্যাগিংয়ের প্রমাণ পেলেই বহিষ্কার
আবেদনের পদ্ধতি:
১) আবেদনকারীকে অনলাইনে ফরম পূরণ করতে হবে।
২) প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাবমিট করতে হবে।
৩) একটি বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি বিষয় বাছাই করতে হবে। আবেদন সফল হওয়ার পর একটা মেইল আসবে যে আবেদন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
আরও পড়ুন: মধ্যরাতে উত্তাল চবি
পরীক্ষার পদ্ধতি:
এখানে মূলত ২ ভাবে পরীক্ষা হয়ে থাকে। প্রথমটা সাইকোলজি টেস্ট, দ্বিতীয়টা অনলাইন ভাইভা।
১) সাইকোলজি টেস্ট: এখানে ৯০টা প্রশ্নের জন্য ৯০ মিনিট সময় থাকে। এ সময়ের মধ্যে প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে হবে। এমসিকিউ ধরনের এ পরীক্ষায় পাস করতে হবে।
২) অনলাইন ভাইভা: সাইকোলজি টেস্ট পাস করার পর ইন্টারভিউয়ের জন্য মেইল পাঠাবে আপনাকে। ইন্টারভিউ ভাইভাতে পাস করতে পারলে ফাইনাল রেজাল্ট প্রকাশ করা হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস
সবশেষে সবার উদ্দেশে এটাই বলব, ইচ্ছা যদি এমন হয় যে আমি বাইরে পড়াশোনা করব বা করতে যাব, ভালো একটা ক্যারিয়ার গড়ব, বিদেশি উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করব, তাহলে জেনে–বুঝে আবেদন করুন। বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য ধৈর্য, পরিশ্রম করার মনমানসিকতা থাকতে হবে। আর কাজাখস্তান হবে আপনার বিদেশে উচ্চশিক্ষার অন্যতম গন্তব্য।
লেখক: মাহতাব আজমাইন রিফাত, স্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিস, আল ফারাবি কাজাখ ন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়। তথ্য সূত্র: প্রথম আলো।
সান নিউজ/এনজে