নিজস্ব প্রতিবেদক:
গোপালগঞ্জ: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) ৪৯টি কম্পিউটার চুরির ঘটনা নিয়ে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
কম্পিউটার চুরির তদন্তে গঠিত কমিটি থেকে বাদ দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার নজরুল ইসলাম হীরা বুধবার (২৬ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন। একই সময়ে নজরুল ইসলাম হীরার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের ছাত্র মিলনায়তনে নজরুল ইসলাম হীরার সংবাদ সম্মেলনে ওই কলেজের সাবেক বেশ কয়েকজন ভিপি-জিএস অংশ নেন। সহকারী রেজিস্ট্রার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিলেও তার পক্ষে লিখিত বক্তব্য দেন সাবেক ভিপি আতিকুর রহমান পিটু।
ক্যাম্পাসের মূল ফটকের সামনে গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া সড়কের পাশে মানববন্ধনকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চুরি যাওয়া কম্পিউটার বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত দাবির পাশাপাশি চোরদের মূল হোতাকে সবার সামনে আনার দাবি জানান। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ভিসি ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন তারা।
গত কোরবানির ঈদের ছুটির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির পেছন দিকের জানালা ভেঙে ৪৯টি কম্পিউটার চুরি হয়। এ ঘটনায় গত ১০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ড. প্রফেসর নূরউদ্দিন আহমেদ গোপালগঞ্জ সদর থানায় চুরির মামলা করেন।
গত ১৩ আগস্ট ঢাকার ক্রিস্টাল ইন হোটেল থেকে চুরি যাওয়া ৪৯টি কম্পিউটারের মধ্যে ৩৪টিসহ দুলাল ও হুমায়ুন কবিরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে প্রযুক্তির সহায়তায় গোপালগঞ্জ ও নড়াইল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী মাসরুল ইসলাম পনি শরীফসহ আরো পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ১৫ আগস্ট গ্রেপ্তারকৃত সাতজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ায় কম্পিউটার চুরির মামলার আর কোনো অগ্রগতি হয়নি। পরস্পরের কাঁদা ছোড়াছুড়িতে প্রকৃত চোর শনাক্ত ও চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধারে দীর্ঘসূত্রতা বাড়ছে।
বিশেষ করে সহকারী রেজিস্ট্রার নজরুল ইসলাম হীরাকে তদন্ত কমিটি থেকে বাদ দেওয়ায় নানা নাটকীয় ঘটনা ঘটছে।
সান নিউজ/ এআর