নিজস্ব প্রতিবেদক:
গোপালগঞ্জ: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) কম্পিউটার চুরির ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি নিয়ে একের পর এক চলছে নাটকীয় ঘটনা। তদন্ত কমিটির এক সদস্যকে অব্যাহতি দেওয়া হয় ও অন্য এক সদস্য স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাজিউর রহমানের বিরুদ্ধে রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. নূরউদ্দিন আহমেদকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
হুমকি দেওয়ার বিষয়ে রেজিস্ট্রার রোববার (২৩ আগস্ট) বিকেলে ভারপ্রাপ্ত ভিসি প্রফেসর ড. মো. শাহজাহানের কাছে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন।
এর আগে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে সহকারী রেজিস্ট্রার মো. নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ সদর থানায় অভিযোগ করেছেন প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান।
কম্পিউটার চুরির বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল গত বৃহস্পতিবার (২০আগস্ট)। কিন্তু, নানা কারণে শেষ পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেননি কমিটি। কমিটির প্রধান সাংবাদিকদেরকে বলেছেন, তারা দুইজন সদস্যকে যুক্ত করার পরে সুবিধাজনক সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
রোববার দুপুরে যদিও অব্যাহতিপ্রাপ্ত ও পদত্যাগী দুই সদস্যের পরিবর্তে শিক্ষার্থী উপদেষ্টা ড. মো. শরাফত আলী ও উপ-পরিচালক (পউও) তুহিন মাহমুদকে তদন্ত কমিটির সদস্য করা হয়েছে।
গত কোরবানির ঈদের ছুটির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির পেছন দিকের জানালা ভেঙে ৪৯টি কম্পিউটার চুরি হয়। এ ঘটনায় গত ১০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ড. প্রফেসর নূরউদ্দিন আহমেদ গোপালগঞ্জ সদর থানায় চুরির মামলা করেন।
গত ১৩ আগস্ট ঢাকার ক্রিস্টাল ইন হোটেল থেকে চুরি যাওয়া ৪৯টি কম্পিউটারের মধ্যে ৩৪টিসহ দুলাল ও হুমায়ুন কবিরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে প্রযুক্তির সহায়তায় গোপালগঞ্জ ও নড়াইল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী মাসরুল ইসলাম পনি শরীফসহ আরো পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ১৫ আগস্ট গ্রেপ্তারকৃত সাতজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ায় কম্পিউটার চুরির মামলার আর কোনো অগ্রগতি হয়নি।
সান নিউজ/ এআর