নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে বাজেট প্রায় ১১ কোটি টাকা কমতে যাচ্ছে। নতুন এ বাজেটে গবেষণা খাতেও বরাদ্দ বাড়ছে না।
আরও পড়ুন : শিক্ষার মানোন্নয়নে মতবিনিময় সভা
বুধবার (২১ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে বার্ষিক অধিবেশনে আলোচনার পর নতুন অর্থ বছরের বাজেট ও চলতি অর্থ বছরের সংশোধিত বাজেটের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে।
নতুন অর্থ বছরের জন্য ৯১৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকার বাজেট বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে উপস্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট ৷ এছাড়া ২০২২-২৩ অর্থ বছরের জন্য সিন্ডিকেট ৯২৪ কোটি ৫০ লাখ টাকার সংশোধিত বাজেট অনুমোদন করেছে।
আরও পড়ুন : স্মার্ট দেশ গড়তে শিক্ষকদের বিকল্প নেই
সেই হিসাবে গবেষণা খাতে মাত্র ১৫ কোটি ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যা গত ২০২২-২৩ অর্থ বছরেও একই ছিল। যা শতকরা হিসেবে মোট বাজেটের ১.৬৪ শতাংশ।
সিন্ডিকেট সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের জন্য প্রায় ৯১৪ কোটি টাকা প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত এ নতুন বাজেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন মোট বাজেটের ৩০.৬৩ শতাংশ, ভাতা ২৩. ৪ শতাংশ এবং পেনশন বাবদ ১৪.৬২ শতাংশ ব্যয় ধরা হয়েছে৷
আরও পড়ুন : গভীর রাতে ঢাবিতে সংঘর্ষ, আহত ৫
নতুন অর্থ বছরের জন্য প্রস্তাবিত ৯১৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকার বাজেটে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কাছ থেকে অনুদান হিসেবে ৭৬৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব খাতগুলো থেকে ৮৫ কোটি টাকা আয় ধরা হয়েছে, অর্থাৎ বাজেটে ৬০ কোটি টাকার বেশি ঘাটতি থাকবে।
গত বছরে ইউজিসির বরাদ্দ ছিল ৭৮১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। পরে তা সংশোধিত হয়ে ৭৩৮ কোটিতে নেমে আসে।
আরও পড়ুন : ঈদের ছুটি বাড়ল
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদের দাবি, প্রকৃতপক্ষে বাজেটের আকার কমেনি। গত অর্থ বছরে পেনশন বাবদ সংশোধিত বাজেট ছিল ১৯০ কোটি টাকা। এবার তা নেমে এসেছে ১৩৩ কোটিতে, অর্থাৎ প্রায় ৬০ কোটি টাকা কমেছে।
কোষাধ্যক্ষ বলেন, ইউজিসি বিশ্ববিদ্যালয়কে যে বাজেট বরাদ্দ দেয়, তা পর্যাপ্ত নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোনো লাভজনক প্রতিষ্ঠান নয়। এই বাজেট থেকে বেতন, ভাতা, সেবা খাতে সমন্বয় করতে গিয়ে গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো যায় না।
সান নিউজ/এনজে