ঢাবি প্রতিনিধি:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৭ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। এদের মধ্যে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির জন্য ৬৩ জন এবং অস্ত্র ও মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার দায়ে ৪ জনকে আজীবন বহিস্কার করা হয়েছে। এছাড়াও ছিনতাই এর সঙ্গে জড়িক থাকার অভিযোগে ১৬ জনকে এ্বং ডিজিটাল জালিয়াতির ও অবৈধ পন্থায় ভর্তির অভিযোগে ৯ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
আগামী সাত দিনের মধ্যে সবাইকে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের এক সভায় বহিষ্কারের এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সভার সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
এতে বলা হয়, স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদেরকে ইতিপূর্বে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হয়েছিল এবং ৭ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছিল। জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় শৃঙ্খলা পরিষদের সুপারিশক্রমে তাদেরকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
২০১২-১৩ থেকে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি হওয়া এসব শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত বছরের ২৩ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ জন শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন এবং পাবলিক পরীক্ষা আইনে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দেয়া হয়।
এরপর গত ৬ আগস্ট ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৯ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। পাঁচ মাসেরও বেশি সময় পর সাময়িক বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬৩জনকে আজীবন বহিষ্কার করা হলো।