নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশের সাতটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ব র্যাংকিংয়ে জায়গা করে নিয়েছে। অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চেয়ে গবেষণা, উদ্ভাবন ও জার্নালে নিবন্ধ প্রকাশে তারা এগিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: বিসিএস প্রিলির ফল প্রকাশ
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এসব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পিএইচডি গবেষণা ও ডিগ্রী প্রদান করতে সায় দিয়েছেন। একইসঙ্গে উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনকে (ইউজিসি) ভেবে দেখার কথা বলেন।
সোমবার (৫ জুন) শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) দেশের সবচেয়ে বড় এডুকেশন এক্সপোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন। এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব)।
অর্ধশতাধিকের উপর পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় দিনব্যপী এই আয়োজনে নিজস্ব স্টলে শিক্ষার্থীরা নিজস্ব উদ্ভাবন, গবেষণা তুলে ধরে। এসব স্টল ঘুরে দেখেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও আগত অতিথিবৃন্দ।
আরও পড়ুন: বিসিএস প্রিলির ফল হতে পারে আজ
আয়োজিত এই এক্সপোতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারো শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও বিভিন্ন সেশনে দেশি-বিদেশি শিক্ষাবিদ চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, বাংলাদেশের ভবিষ্যত শিক্ষার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রদান করেন।
ডা. দীপু মনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, দেশের অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। আমি সবগুলো নিয়ে বলছি না। কিন্তু মানের দিক থেকে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ভালো করছে।
তাদের সক্ষমতা হয়েছে বলে আমি বিশ্বাস করি, তাদের পিএইচডি ডিগ্রি করার অনুমতির দেয়ার বিষয়টি এখন ইউজিসির ভেবে দেখার সঠিক সময়। তা না হলে আমরা গবেষণাকে উৎসাহিত করতে পারবো না।
আরও পড়ুন: অনার্স ২য় বর্ষের ফলাফল প্রকাশ
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রধান হাতিয়ার শিক্ষা। আমাদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতের পাশাপাশি গবেষণাসহ সকল খাতে জোর দিতে হবে। শিক্ষার উন্নয়নের জন্য শুধু অবকাঠামো বা বিল্ডিং বানালেই হবে না, একাডেমিক কার্যক্রমের গতি বাড়াতে হবে।
বাংলাদেশের শিক্ষাখাতে প্রতিবছরই বরাদ্দ বাড়াচ্ছে সরকার। জিডিপির হিসেবে এ হার কম হলেও সামগ্রিক হিসেবে বাড়ছে। এখন আমাদের গবেষণায়ও বরাদ্দ বেড়েছে। এসময় দেশ গড়ার কাজে শিক্ষার্থীদের আত্মনিবেদন করার অনুরোধ জানান মন্ত্রী।
ডা. দীপু মনি শিক্ষার্থীদের কর্মজগতে প্রবেশের জন্য নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাংলা, ইংরেজির পাশাপাশি ভাষাজ্ঞান, সফটস্কিল, সমস্যা সমাধান দক্ষতা, যোগাযোগ দক্ষতাসহ সবখাতেই আমাদের তরুণদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। নিয়োগকর্তা এবং প্রার্থীর দক্ষতার সমন্বয় করতে হবে। তাহলে কর্মজগতে আমাদের তরুণরা পিছিয়ে থাকবে না।
আরও পড়ুন: স্কুল-কলেজে মানতে হবে ৬ নির্দেশনা
আগামী প্রজন্মকে আমরা প্রাথমিক-মাধ্যমিক থেকেই দক্ষ করে গড়ে তুলতে কাজ করছি। এর সুফল এখন না পাওয়া গেলেও ২০৪১ সালের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইরাব সভাপতি মীর মোহাম্মদ জসিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসাইন।
আয়োজিত এক্সপো’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
সান নিউজ/এইচএন