ছবি: সংগৃহীত
শিক্ষা

সেই ১৫ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসছে!

জেলা প্রতিনিধি : নীলফামারীর টুপামারী দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের আন্দোলনরত ১৫ শিক্ষার্থী অবশেষে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারছে। তবে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষকের ভুলের কারণে ফরম ফিলাপ না হওয়ায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারছে না এক শিক্ষার্থী।

আরও পড়ুন : ১০ টায় এসএসসি-সমমান পরীক্ষা শুরু

শনিবার (২৯ এপ্রিল) রাত ১১ টার দিকে নীলফামারী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন নাহারের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা শিক্ষা একাডেমিক সুপারভাইজার মিজানুর রহমান, ছমির উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র সচিব মেজবাহুল হক প্রমুখ।

আরও পড়ুন : পরীক্ষা দেওয়া হচ্ছে না শিমুর

এর আগে শনিবার সকাল থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত পরীক্ষার প্রবেশপত্র না পাওয়ায় স্কুলের বারান্দায় অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে রাত ১০ টা দিকে তারা নীলফামারী-রামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।

আন্দোলনরত ১৫ শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারার বিষয়টি নিশ্চিত করে নীলফামারী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন নাহার বলেন, বিষয়টি জানার পর শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র দেওয়া বিষয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা প্রবেশপত্রের জন্য সড়ক অবরোধ ও বিদ্যালয়ের বারান্দায় অবস্থান করছিল। তাদের বুঝিয়ে বাড়ি পাঠিয়েছি।

আরও পড়ুন : প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই

তিনি আরও জানান, বোর্ডের সার্ভারও সমস্যা ছিল। এডমিটগুলো ডাউনলোড হচ্ছিল না। পরে ডাউনলোড হয়েছে। আমরা সেগুলো বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান ও সহকারী শিক্ষকদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।

জেলা শিক্ষা একাডেমিক সুপারভাইজার মিজানুর রহমান জানান, ঐ বিদ্যালয়ের ১১ জন শিক্ষার্থীর সমস্যা ছিল বিভাগ পরিবর্তন ও ১৬ জনের সমস্যা ছিল রেজিস্ট্রেশন ও প্রবেশপত্র না পাওয়া। রেজিস্ট্রেশন ও প্রবেশপত্র না পাওয়ার মধ্যে ১৫ জন পরীক্ষার্থীর সমস্যা সমাধান হয়েছে।

আরও পড়ুন : এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা কাল

নীলফামারী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান জানান, বিভিন্ন মাধ্যমে জানার পর ডিসি স্যারসহ দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে যোগাযোগ করলে তাদের প্রবেশপত্র আমাদের প্রেরণ করেন। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও একাডেমিক সুপারভাইজার, কেন্দ্রে সচিবসহ ঐ প্রতিষ্ঠানে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে বাড়িতে পাঠিয়েছেন। আমিও একাধিকবার ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষককে ফোন দিয়েছিলাম কোনো সাড়া পাইনি।

তিনি আরও জানান, শিক্ষার্থী বা অভিভাবকের পক্ষ থেকে কেউ লিখিত অভিযোগ করলে প্রতিষ্ঠান প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শনের নোটিশ করব। সংবাদ কর্মীদের ধন্যবাদ জানাই। কারণ আপনারা যদি না লিখতেন, তাহলে আমরা জানতে পারতাম না।

সান নিউজ/এনজে

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

ঈদের পরে পর্যটন কেন্দ্রের হালহাকিকাত

বিনোদন প্রতিবেদক: রমজান মাসে দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ছিল প্রায় সুনসান নীরব...

বিমসটেক সম্মেলনের পথে প্রধান উপদেষ্টা

সান ডেস্ক: এশিয়ার শীর্ষ নেতাদের অংশগ্রহণে বিমসটেকের ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ...

সমাজে এখনও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা যায়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের উদ্দেশ্য ছিল এ...

শপথ নিলেন আপিল বিভাগের দুই বিচারপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক: সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসে...

স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিলেন ড. ইউনূস

নিজস্ব প্রতিবেদক: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অ...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা