সান নিউজ ডেস্ক: দেশব্যাপী সক্রিয় হচ্ছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা। অচিরেই তারা মাঠে নামারও ঘোষণা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: তাপমাত্রা ৪০ ছুঁই ছুঁই
শিক্ষকরা তাদের বর্তমান গ্রেড পরিবর্তন ছাড়াও উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের কর্মকর্তাদের অধীনে প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নিতেও আপত্তি জানিয়েছেন। একইসাথে প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের নবম গ্রেড এবং সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেড দেয়ার বিষয়ে জোর দাবি জানানো হয়েছে।
শিক্ষক নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, সারা দেশের শিক্ষকদের প্রধান দাবিই হচ্ছে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন বাড়িয়ে দশম গ্রেড এবং প্রধান শিক্ষকদের নবম গ্রেড করতে হবে। বর্তমানে সহকারী শিক্ষকেরা ১৩তম গ্রেডে ও প্রধান শিক্ষকরা ১১তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ভারতে ২ বাংলাদেশি আটক
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে বিভিন্ন দাবি প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, সম্প্রতি উপজেলা রিসোর্স সেন্টারে (ইউআরসি) কর্মরত ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের ‘সহকারী ইনস্ট্রাক্টর’ পদে চলতি দায়িত্ব দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। আমরা এই প্রস্তাব অবিলম্বে বাতিল করার দাবি জানাচ্ছি। এ ছাড়া অন্যান্য সরকারি কর্মচারীদের মতো ছুটি রেখে প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি ‘নন-ভোকেশনাল’ হিসেবে গণ্য করা, দ্রুত সময়ের মধ্যে সহকারী শিক্ষকদের মধ্য থেকে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি ও চলতি দায়িত্বপ্রাপ্তদের প্রধান শিক্ষক পদে পদায়ন এবং বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সাথে সমন্বয় রেখে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অবিলম্বে নবম পে-স্কেল ঘোষণা করারও দাবি জানাচ্ছি।
শিক্ষক নেতৃবৃন্দ জানান, সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত, প্রশিক্ষণপ্রাপ্তবিহীন বৈষম্য বাতিল, প্রধান শিক্ষকদের টাইমস্কেল জটিলতা নিরসন, পদোন্নতিতে জটিলতা কমানোর দাবিতে আগামী ১৮ মে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেয়া হবে। এর মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে পর্যায়ক্রমে পরবর্তী কর্মসূচি দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: জলদস্যুদের হামলায় জেলে নিহত
শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো: আনোয়ারুল ইসলাম তোতা জানান, প্রাথমিক শিক্ষকরা আজ একটি কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি।
বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ শিক্ষকরা জানান, অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজারের পদধারীরা সাধারণত বিএড, এমএড ডিগ্রিধারী হয়ে থাকেন। সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও সহকারী ইন্সট্রাক্টররা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার হিসেবে প্রাথমিক স্কুলের শ্রেণি পাঠদান ও প্রাথমিক শিক্ষকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ তত্ত্বাবধান করে থাকেন।
অন্য দিকে ডাটা এন্ট্রি অপারেটররা অ্যাকাডেমিক পদধারী কর্মচারী না। তাই তাদের কোনোভাবেই অ্যাকাডেমিক ট্রেইনার বা সুপারভাইজারে পদে চলতি দায়িত্ব বা পদোন্নতি দেয়া যাবে না। তাদের পদোন্নতি হোক আমাদের কোনো আপত্তি নেই। এ ছাড়াও একজন প্রধান শিক্ষকের বেতন গ্রেড ১১তম এবং সহকারী শিক্ষকের ১৩তম। আর ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের পদ ১৬তম গ্রেডের।
সান নিউজ/এনকে