নিজস্ব প্রতিবেদক : ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার প্ররোচনায় দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির ২ শিক্ষিকা নাজনীন ফেরদৌস ও জিনাত আক্তারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
আরও পড়ুন : হাসপাতালে ভর্তি পোপ ফ্রান্সিস
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ-১২ এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন এ পরোয়ানা জারি করেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সকালে সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. হিমেল গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলাটি ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে বদলি হয়ে আমাদের আদালতে আসে। এর আগে মামলাটির একটি তারিখ ধার্য ছিল। ঐ দিন আসামিরা আদালতে হাজির হননি।
আরও পড়ুন : এপ্রিলে তুরস্কে যেতে পারেন পুতিন
তিনি আরও জানান, ২৮ মার্চও মামলাটির তারিখ ধার্য ছিল। এদিনও তারা হাজির হননি। এ জন্য আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
আগামী ১৮ এপ্রিল মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ধার্য রয়েছে বলেও জানান তিনি। এতে ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্য পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন : বিশ্বজুড়ে শনাক্ত ও মৃত্যু বেড়েছে
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর পরীক্ষা চলাকালে অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান পেয়ে নকল করার অভিযোগে তার মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। বাবা দিলীপ অধিকারী তার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। অধ্যক্ষের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন।
এ সময় অরিত্রী দ্রুত অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে শান্তিনগরে বাসায় অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়নায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে।
আরও পড়ুন : ৬ বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস
ঐ ঘটনায় ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর পল্টন থানায় তার বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে মামলা করেন।
২০১৯ সালের ২০ মার্চ ঐ ২ শিক্ষককে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার। এরপর একই বছরে ১০ জুলাই ঐ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত।
সান নিউজ/এনজে