নিজস্ব প্রতিবেদক: শিক্ষকতা নিঃসন্দেহে মহান পেশা। একজন ছাত্রকে কেবল শিক্ষিতই নয়, বরং ভালো মানুষ করে তোলার গুরু দায়িত্বটাও থাকে শিক্ষকের ওপরেই। তাই একজন শিক্ষককে হতে হয় অনেক বেশি সচেতন, অনেক বেশি ধৈর্যশীল। একজন শিক্ষক হতে হলে আপনাকে বিশেষ কিছু গুণের অধিকারী হতে হবে।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে পর্যাপ্ত চিকিৎসক নেই
তেমনই একজন শিক্ষক শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটির নাহারিন চৌধুরী। একান্ত এক সাক্ষাৎকারে নাহারিন চৌধুরী বলেছেন, আমার আসলে টিচিং প্রফেশনটা বেশি দিনের না কিন্তু আমি এটাকে খুবই উপভোগ করছি। আমার অভিজ্ঞতাগুলোকে স্টুডেন্টদের সাথে শেয়ার করছি আর এটা খুবই আনন্দ দেয় আমাকে।
টিচার হিসেবে আপনি এ প্রফেশনটাকে কিভাবে দেখছেন: আসলে টিচিং প্রফেশনটা আমার কাছে নিজের জ্ঞানের চর্চা করা বলে মনে হয়। আর যেটা বললাম, অভিজ্ঞতা শেয়ার করাটাই আমার কাছে শিক্ষকতা।
আপনার স্টুডেন্টরা আপনার কাছ থেকে কি শিখছে বলে মনে করেন?
আরও পড়ুন: আমরা সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানাই
তিনি বলেন, ওরা আসলে ফাইনাল সেমিস্টারের স্টুডেন্ট, অলরেডি সবই জানে। আমি যেহেতু ওদের ডাবলিউ এ ডি মোডিউলটা নেই। এখানে আসলে ওরা যা এতদিন শিখছে ওইটার একটা আউটকাম দেয়। মানে সম্পূর্ণ নিজে একটা কালেকশন তৈরী করে। ওরা খুব ক্রিয়েটিভ আমি ওদের গাইডলাইন করে দেই। বাকিটা ওরাই নিজেরাই করে আসলে।
টিচিং এ আপনি বেশ অল্প টাইমে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন এটার মূল মন্ত্র টা কি?
তিনি বলেন, হাহাহাহা…এটার কোনো মূলমন্ত্র নেই। প্রতিটা শিক্ষক তার সবটুকুন বিলিয়ে দেয় তার স্টুডেন্টদের কাছে। তবে যেহেতু আমি একটি ক্রিয়েটিভ সাবজেক্ট এ পড়াশোনা করা স্টুডেন্ট পড়াচ্ছি এখানে আমাকে প্রতিটা স্টুডেন্টকে আলাদাভাবে ট্রীট করতে হয়। আর আমি এই কাজটা খুব মনোযোগ দিয়ে করি। আর আমার এখনো অনেক কিছু শেখা বাকি।
আপনার এই প্রফেশনে আসার অনুপ্রেরণা কোথা থেকে আসলে এসেছে?
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের কারণে পূর্বাচলে সামান্য ক্ষতি হবে
নাহারিন চৌধুরী বলেন, আমার শিক্ষকরাই আমার অনুপ্রেরণা। আমি আজ যা তা সম্পূন্ন আমার শিক্ষকদের কাছ থেকে শেখা। উনাদের মত আমি কখনোই হতে পারব না। উনারা আমাকে বিশ্বাস করে এই সুযোগটা দিয়েছেন, আমি উনাদের এই সম্মানটুকু রক্ষা করতে চাই।
নিজের ইউনিভার্সিটি'তে নিজে শিক্ষক কেমন লাগে ব্যাপারটা?
তিনি আরও বলেন, খুবই ভালো লাগার একটা অনুভূতি। আমি আজও টিচারের চেয়ারে বসে স্টুডেন্টদের দিকে তাকায় থাকি আর ভাবি আমিও একদিন ওই জায়গাটাতে ছিলাম। এটা কেমন যে একটা অনুভূতি এটা আসলে বুঝানোর ভাষা আমার নেই। আমার ইউনিভার্সিটি আমাকে আজ তৈরি করেছে বিধায় আমি আজ এখানে .
নতুনদের নিয়ে আপনার কি বলার আছে?
নাহারিন বলেন, ওরা আমাদের ফিউচার।ওদেরকে আমরা যত ভালো করে গড়ব , আমাদের দেশ তত সামনে এগোবে। ওরা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি ক্রিয়েটিভ, পরিশ্রমী এবং স্মার্ট , আমি ওদের থেকে প্রতিনিয়ত নতুন কিছু না কিছু শিখি।
সান নিউজ/এনকে