এম মাহামুদুল হাসান: একটি সুন্দর নাম সুন্দর রুচিবোধের পরিচায়ক। নামকরণের মাঝে বিশাল ইতিহাস জড়িত থাকে। তবে সে নামটি যদি মানুষের মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, তা পরিবর্তনের বিকল্প নেই।
দেশের প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের শিশুমনে বিরুপ প্রভাব সৃষ্টিকারী দেশের কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনা-সমালোচনা চলছে। তার মধ্যে যেগুলোর নাম শ্রুতিমধুর নয়, সেগুলো পরিবর্তন করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করে আজ বৃহস্পতিবার (০৬ আগস্ট) জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পলিসি ও অপারেশন পরিচালক খালিদ আহম্মেদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশে এমন কিছু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম আছে, যা শ্রুতিমধুর নয় এবং ভাষা ও সংস্কৃতির সঙ্গে সুশােভন নয়। যা নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে হাস্যরসের সৃষ্টি হচ্ছে। এ ধরনের বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে দেশের ভাষা ও সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শােভনীয় নামকরণের প্রস্তাব যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে অধিদপ্তরে পাঠানোরও অনুরােধ জানানো হয় বিবৃতিতে।
বিজ্ঞপ্তিতে নাম পরিবর্তনের উদাহরণ দিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, ইতোমধ্যে নীলফামারী সদর উপজেলার ‘মানুষমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’-এর নাম বদলে ‘মানুষ গড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ করা হয়েছে।
এছাড়াও সম্প্রতি নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার ‘চোরের ভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’-এর নাম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় বেশ আলোড়নের পরে প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হয়। স্কুলের নামের কারণে শিশুমনে বিরুপ প্রভাব তথা নামটি আপত্তিকর ও শ্রুতিমধুর না হওয়ায় ইতিমধ্যে তা বদলে ‘আলোর ভূবন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ করা হয়েছে।
সান নিউজ/ এআর