সান নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) মারামারিতে জড়িয়ে বহিষ্কার হওয়াদের বিরুদ্ধে এবার চার শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত দুই ছাত্রকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন : ১৫ শিক্ষকের একমাত্র শিক্ষার্থী অকৃতকার্য!
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় গুরুতর আহত দুই ছাত্রকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
নির্যাতনের শিকার চার শিক্ষার্থীরা হলেন ৬২তম ব্যাচের এম এ রায়হান, মোবাশ্বির হোসেন শুভ্র, জাহিদ হোসাইন ওয়াকিল এবং সাকিব হোসেন।
চমেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার বিষয়টি প্রথমে ‘শিক্ষার্থীরা বাথ রুমে পড়ে যাওয়ার বিষয়’ বলে চালিয়ে দিয়ে অস্বীকার করেন।
আরও পড়ুন : ২০ মে বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা
পরবর্তিতে ফটো সাংবাদিকরা চমেক হাসপাতালের জরুরী বিভাগ থেকে নির্যাতনের ছবি তুলেছে জানালে অধ্যক্ষ বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমরা ক্যাম্পাসে আছি। বিষয়টি দেখছি বলেও জানান তিনি।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর কাদের মজুমদার বলেন, অভিযোগ পেয়ে আমরা ছাত্রাবাসে নিয়মিত পুলিশের সাথে আরও পুলিশ মোতায়েন রেখেছি। নির্যাতনকারীদের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করছি বলেও জানান তিনি।
জানা যায়, নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীদের মধ্যে এম এ রায়হানে বাড়ি কুমিল্লা এবং মোবাশ্বির হোসেন শুভ্রর বাড়ি নারায়নগঞ্জ।
আরও পড়ুন : যৌন হয়রানির অভিযোগে অধ্যাপকের পদাবনতি
নির্যাতনকারীরা এদুই শিক্ষার্থীকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ না দিয়ে গ্রামের বাড়ি চলে যেতে গাড়িতে তুলে দিয়েছে।
চমেক হাসপাতাল সূত্রে, নির্যাতনের শিকার দুই শিক্ষার্থীদের মধ্যে জাহিদ হোসাইন ওয়াকিল এবং সাকিব হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়েছে।
ছাত্রাবাসে অবস্থানরত এক শিক্ষার্থী জানান, বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ৩টায় তাদেরকে ছাত্রাবাসের বিভিন্ন রুম থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করা হয়।
আরও পড়ুন : জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৭৮ হাজার ৪৩৭
হোস্টেল এবং কলেজ কর্তৃপক্ষ সকাল থেকে বিষয়টি জেনেও উদ্ধারের কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি বলেও জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ শিক্ষার্থী।
সান নিউজ/এইচএন