নিজস্ব প্রতিবেদক :
আগামী বছর থেকে ‘মিড ডে মিল’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ৬৫ হাজারেরও বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাসের ফাঁকে খাবার বিতরণ করবে সরকার।
এর আওতায় সপ্তাহে তিনদিন রান্না করা খাবার এবং অন্য তিনদিন শুকনো খাবার দেওয়া হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে 'মিড ডে মিল' কার্যক্রমের আওতায় আনা হচ্ছে। এজন্য ১৯ হাজার ২৭২ কোটি টাকার প্রকল্প পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় বরাবর জমা দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেন বলেন, প্রাথমিক শিক্ষায় মিড ডে মিল কার্যক্রমটি গুরুত্বের সঙ্গে চালু করা হচ্ছে। পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের পুষ্টি চাহিদা পূরণেও কাজ করবে সরকার। ২০২১ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিকে 'মিড ডে মিল' চালু করা হবে।
এদিকে স্কুল ফিডিং প্রকল্পের আওতায় ১০৪টি উপজেলায় বিস্কুট পাচ্ছে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও চাল, ডাল ও ভোজ্যতেল পাচ্ছে ১৬ উপজেলার শিক্ষার্থীরা। করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় মিড ডে মিল প্রকল্পের আওতায় এ কাজটি করছে সরকার।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘আগামী বছর থেকে মিড ডে মিল চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রান্না করা খাবার ও উচ্চ পুষ্টিমান সমৃদ্ধ বিস্কুট দেশের ১৬ উপজেলার ৪ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থীর মাঝে পরিবেশন করা হচ্ছিল। কিন্তু স্কুল বন্ধ থাকায় এখন আমরা বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছি। কার্যক্রমটি যেভাবে এগোচ্ছে আশা করছি, আগামী বছর থেকে এটি দারুণ সাড়া ফেলবে।’
প্রতিমন্ত্রী জানান, 'জাতীয় স্কুল মিল নীতি-২০১৯' এর আওতায় ২০২৩ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ কার্যক্রম চালু হবে।
২০১৩ সাল থেকে পাইলট প্রকল্প হিসেবে 'মিড ডে মিল' বা দুপুরে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়। এই পাইলট প্রকল্প ফলপ্রসূ হওয়ার পর 'জাতীয় মিড ডে মিল নীতিমালা-২০১৯' প্রণয়ন করা হয়।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফসিউল্লাহ্ বলেন, প্রাথমিকে শিশুদের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে মিড ডে মিল ভালো ভূমিকা পালন করবে। আগামী বছর এর পরিসর বড় হবে। ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি শিক্ষার্থীর কাছে মিড ডে মিলের খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে।
সান নিউজ/সালি/এআর