এম.এ আজিজ রাসেল, কক্সবাজার: শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, “বিশ্বে বৈশ্বিক সংকট ও অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। যার কারণে কাগজের সংকট ছিল। তাছাড়া বছরের মাঝামাঝি সময়ে বিদ্যুতের সংকটও তৈরি হয়। এতে ছাপাখানাগুলো অনেক ঝামেলার মধ্যে পড়েছিল। তা সত্বেও বছরের প্রথম দিন প্রাথমিকে শতকরা ৮০ ভাগ ও মাধ্যমিকে ৮০ ভাগের চেয়ে বেশি বই দেওয়া হয়েছে। বাকি ২০ শতাংশ বই আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে পৌঁছে যাবে।”
আরও পড়ুন: উলিপুর প্রেসক্লাবের ৩৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত
রোববার (০৮ জানুয়ারি) কক্সবাজারের হোটেল কক্স টুডের হলরুমে ‘ন্যানো—বায়ো অ্যান্ড অ্যাডভান্সড ম্যাটেরিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিং (এনএএমই—২০২৩)’ শীর্ষক দুইদিনের প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, “সোনার বাংলা গড়ার জন্য, তৈরি করতে হবে সোনার মানুষ। আজ বিজ্ঞান প্রযুক্তির উন্নয়নে শুধু শিক্ষা ক্ষেত্রে অগ্রগতি হচ্ছে তা না, বাস্তব প্রয়োগও হচ্ছে। যার কারণে আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন সফল হয়েছে। বর্তমানে আমাদের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ। আর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ‘ন্যানো—বায়ো অ্যান্ড অ্যাডভান্সড ম্যাটেরিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিং। আমাদের বিজ্ঞান প্রযুক্তির চর্চার , গবেষণা ও উদ্ভাবন আরও বেশি বাড়াতে হবে। এ ক্ষেত্রে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।”
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, “হয়তো অর্থনীতিতে আমরা ধনী দেশ হতে পারিনি, তবে মধ্যম আয়ের দেশ হয়েছি। তাই আমরা মানবিক বাংলাদেশ। সেই মানবিকতাকে বজায় রেখে সৃজনশীলতা নিয়ে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ হতে চাই। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে সেটি সম্ভব।”
আরও পড়ুন: দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাউন্সিলরদের সংবাদ সম্মেলন
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) কেমিকৌশল (সিএইচই) বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাপানের টোহুকো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. তাদাহিরু কমেদা এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর মো. আনোয়ার হোসাইন।
এতে সভাপতিত্ব করেন কেমিকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান ড. জাভেদ হোসেন খান।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগবালাই
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আব্দুর রশিদ জানান, সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ দেশ—বিদেশের প্রায় ২৫০ জন শিক্ষক—শিক্ষার্থী ও গবেষক অংশগ্রহণ করেছেন। তারা ‘অ্যাডভান্স ম্যাটেরিয়ালস ফর এনার্জি, ফুড সেফটি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, ন্যানো ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ফটোনিকস, ন্যানো—টেকনোলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স, বায়ো ম্যাটেরিয়ালস অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইসসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রায় ১৫২টি প্রবন্ধ ও পোস্টার উপস্থাপন করেন। দেশ—বিদেশের শিক্ষক—শিক্ষার্থী ও গবেষকদের মধ্যে গবেষণার যোগসূত্র ও মেলবন্ধন তৈরির উদ্দেশ্যে পৃথিবীর বৃহত্তম সমুদ্র সৈকতে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সান নিউজ/এসআই