মেহেদী হাসান সাকিব, বশেমুরবিপ্রবি: গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ক্লাসরুমের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়েছে দ্বিতীয় দিনের মত আন্দোলন করে। এতে অচল হয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত প্রশাসনিক কার্যক্রম। ভিসি ও ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিনের আশ্বাসে আগামী সোমবার পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: আপত্তিকর দৃশ্যে পূজা চেরী
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দ্বিতীয় দিনের মত আন্দোলন শুরু করে তারা। গত মঙ্গলবার ক্লাসরুমে দাবিতে আন্দোলনে নামে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক এক বিজ্ঞপ্তিতে নতুন সম্পন্ন হওয়া একাডেমিক বিল্ডিংয়ে রুম বরাদ্দ দেওয়া হয় সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগকে। অষ্টম তলায় ৮১৩ নাম্বার রুম বরাদ্দ পায় বিভাগটি। কিন্তু নিজেদের বরাদ্দকৃত রুম বিজ্ঞাপ্তি প্রকাশের দীর্ঘ দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও বুঝে পায় নি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। সেখানে সাইকোলজি বিভাগ ক্লাসরুম দখল করে ক্লাস করছে বলে অভিযোগ আন্দোলনকারীদের।
আরও পড়ুন: বিয়ে করতে যাচ্ছেন সামান্থা
এর আগে নিজেদের ক্লাসরুম বুঝে নিতে গেলে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র বাকবিতন্ডা হয়। ফলশ্রুতিতে বিভাগটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর আবেদন করে উদ্ভুত পরিস্থিতির সমাধান করার জন্য। শিক্ষকরা মিটিং করেন কিন্তু কোন সমাধানে পৌঁছাতে পারেননি। পরে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা বারে বারে উদ্ভুত সমস্যা সমাধানের দাবি জানালেও প্রশাসন কোন কর্ণপাত করেননি বলে বিভাগটির শিক্ষার্থীদের অভিযোগ।
এ বিষয়ে আন্দোলনরত বিভাগটির দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শুভ বলেন, এটি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন যে অথর্ব্য, ব্যর্থ তার প্রমাণ। আমাদের কেন সব কিছুর জন্য আন্দোলন করতে হবে। আমাদের ক্লাসরুম অতি দ্রুত বুঝিয়ে দেওয়া হোক।
আরও পড়ুন: নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে বিএনপি
আন্দোলন চলাকালীন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব, প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মোঃ শাহাজাহান ও ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন আন্দোলন স্থলে আসেন। এ সময় ভিসি ও ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দেন যে, আগামী সোমবার সকালে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগকে রুমের চাবি বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এই আশ্বাসে সোমবার পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেছে আন্দোলনকারীরা।
ভিসিসহ অন্যান্য শিক্ষকরা আন্দোলন স্থল ত্যাগ করলে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা একটি সংবাদ সম্মেলন করে। সেখানে তারা সোমবার পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত রাখার ঘোষণা দেয়। এছাড়া, সোমবার রুম না পেলে পরবর্তীতে প্রশাসনিক ভবন, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ তালা মারাসহ একাডেমিক কার্যক্রম অচল করার মত কঠোর কর্মসূচি নিবেন বলে জানায়।
সান নিউজ/কেএমএল