এম মাহামুদুল হাসান, নিজস্ব প্রতিবেদক:
আগামী ৯ আগস্ট থেকে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইন ভর্তির কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ১৫ আগস্ট পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগের কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের জানান, এ বছর একাদশ শ্রেণিতে কোটা পদ্ধতি বহাল থাকছে। তবে, অন্যান্য কোটা নিয়ে নীতিমালায় কোনো কিছু উল্লেখ করা হয়নি। অনলাইনে সর্বোচ্চ ১০টি প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। ভর্তি প্রক্রিয়ায় জটিলতা ও ব্যয় কমাতে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন প্রক্রিয়াটি বাতিল করা হয়েছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সূত্র জানায়, সময় পরিবর্তিত হলেও ইতোমধ্যে প্রকাশিত নীতিমালা অনুসারে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
ভর্তি নীতিমালায় পাঁচ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা, দশমিক পাঁচ শতাংশ বিকেএসপি এবং দশমিক পাঁচ শতাংশ প্রবাসী কোটা বহাল থাকছে। প্রবাসীদের সন্তান ভর্তির বিষয়ে সরাসরি বোর্ডে আবেদন করতে হবে।
এবার একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার এমপিওভুক্ত কলেজে পাঁচ হাজার টাকা, ঢাকার মধ্যে আংশিক এমপিওভুক্ত ও এমপিওবিহীন প্রতিষ্ঠানের বাংলা মাধ্যমে নয় হাজার ও ইংরেজি মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা। সব প্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন ফি তিন হাজার টাকার বেশি নেওয়া যাবে না। প্রতিটি খাতে অর্থ আদায়ের ক্ষেত্রে রসিদ প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মফস্বল ও পৌর এলাকার কলেজে এক হাজার টাকা, পৌর জেলা সদরে দুই হাজার টাকা, ঢাকা ছাড়া অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকায় তিন হাজার টাকার বেশি ভর্তি ফি নেওয়া যাবে না বলে খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে।
ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ সাংবাদিকদের জানান, ইতোমধ্যে প্রকাশিত ভর্তি নীতিমালা অনুসারে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। শুধু সময়সূচিতে পরিবর্তন করা হয়েছে। ভর্তি প্রক্রিয়ার পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি খুব তাড়াতাড়ি সবার সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত করবেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি।
সান নিউজ/ এআর