সান নিউজ ডেস্ক : ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় চন্দ্র শেখর হালদার ওরফে মিল্টন নামে এক কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে। ওই কর্মকর্তা ৩১তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন : নির্বাচনের কাজটা খুব সহজ নয়
রোববার (২৪ জুলাই) রাতে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার তাকে আদালতে সোপর্দ করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
সোমবার (২৫ জুলাই) সংবাদ মাধ্যমকে গোয়েন্দা তেজগাঁও জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো: শাহাদাত হোসেন সুমা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, বিভিন্ন সরকারি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে গ্রেফতার একাধিক ব্যক্তি জিজ্ঞাসাবাদে মাউশি কর্মকর্তা মিল্টনের নাম জানায়। এরপর তাদের দেয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। এরপরই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন : দ্রৌপদী মুর্মুর শপথ গ্রহণ
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা আরও জানান, চলতি বছরের ১৩ মে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) ৫১৩টি পদে নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরীক্ষা চলাকালে ইডেন কলেজ কেন্দ্র থেকে থেকে প্রশ্নপত্রের উত্তরসহ চাকরি প্রার্থী সুমন জোয়ার্দার নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। তার প্রবেশপত্রের উল্টো পিঠে ৭০টি এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর লেখা ছিল।
তার দেয়া তথ্যে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় সাইফুল ইসলাম নামে এক স্কুল শিক্ষককে। সাইফুল পটুয়াখালীর খেপুপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গণিতের সহকারী শিক্ষক। এর পরে সুমন আর সাইফুলের দেয়া তথ্যে বেরিয়ে আসে মূল হোতাদের নাম।
আরও পড়ুন : ভালোবাসায় সিক্ত ফজলে রাব্বী
গোয়েন্দারা জানতে পারেন প্রশ্নফাঁসে জড়িত খোদ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের কয়েকজন। এরা হলেন, অধিদফতরের উচ্চমান সহকারী আহসান হাবীব, অফিস সহকারী নওশাদুল ইসলাম। এর বাইরেও আসে পটুয়াখালী সরকারি কলেজের শিক্ষক রাসেদুল ইসলামের নাম।
পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১৪ মে প্রভাষক রাশেদুল, মাউশির উচ্চমান সহকারী আহসান হাবীব ও অফিস সহকারী নওশাদকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনার এক সপ্তাহ পরে সেই নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে মাউশি।
আরও পড়ুন : ১০ লাখে সুবহার আপস
গোয়েন্দারা আরও জানান, নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রটি মাউশি কর্মকর্তা চন্দ্র শেখর হালদার ওরফে মিল্টন ফাঁস করেছিলেন। তিনি ওই নিয়োগ পরীক্ষার ইডেন কলেজ কেন্দ্র সমন্বয় করার দায়িত্বে ছিলেন।
মাউশি কার্যালয় থেকে প্রশ্ন নিয়ে কেন্দ্রে যাওয়ার সময় তিনি প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সাইফুলের কাছে পাঠিয়েছিলেন।
সান নিউজ/এইচএন