সান নিউজ ডেস্ক: মাছ চাষের খাবারের খরচ কমানোর পাশাপাশি খামারিরা যেন নিজের খামারের প্রয়োজনীয় খাদ্য নিজে উৎপাদন করতে পারে সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ, একোয়াকালচার এন্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের ফিশিং এন্ড পোস্ট হারভেস্ট টেকনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় চেয়ারম্যান মোঃ মাসুদ রানা সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাছের খাদ্য তৈরির মেশিন সাউ ফিড মিল-১ উদ্ভাবন করেছেন।
আরও পড়ুন: ৬ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চাইলেন সাকিব
রোববার (২৪ জুলাই) বিকাল ৩টা ৩০মিনিটে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ কামাল ভবনের নিচ তলায় সাউ ফিড মিল-১ এর উদ্বোধন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেকৃবির মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোঃ শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেকৃবি'র মাননীয় ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোঃ নজরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ম্যানিলায় গুলিতে মেয়রসহ নিহত ৩
এছাড়াও ফিশারিজ, একোয়াকালচার এন্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের ডিন, অধ্যাপক ড. এ. এম. সাহাবুদ্দিন, এএসভিএম অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. লাম-ইয়া আসাদ, গবেষণা পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, বহিরাঙ্গন কার্যক্রমের পরিচালক ড. শরমিন চৌধুরী, প্রক্টর ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ এবং ফিশারিজ, একোয়াকালচার এন্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
জানা গেছে, মেশিনটি তৈরি করতে মোট সময় লেগেছে এক বছর ছয় মাস ও মেশিনটি তৈরিতে খরচ হয় বার লক্ষ টাকা। সাউ ফিড মিল-১ এর উদ্ভাবক মাসুদ রানা জানান মাছ চাষিদের খাবারের সরবরাহ ও খরচ কমাতে মেশিনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। নিরাপদ মাছ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন নিরাপদ মৎস্য খাদ্য। যেহেতু খামারি মাছের খাদ্যের কাঁচামাল সংগ্রহ করে নিজেই খাদ্য উৎপাদন করবে সেক্ষেত্রে খাদ্য যেমন নিরাপদ হবে তেমনি ঐ খাদ্য প্রয়োগ করে উপাদিত মাছও নিরাপদ হবে।
আরও পড়ুন: রণবীর কাপুরের ওপর আমার ক্রাশ
উদ্ভাবিত মেশিনটির বিশেষত্ব হল একই মেশিন দিয়ে খামারি মাছের ভাসমান ও ডুবন্ত উভয় প্রকার খাদ্য তৈরি করতে পারবে। পাশাপাশি মেশিনটি দিয়ে ০.৫ মিলি থেকে ৫ মিলি আকারের সকল প্রজাতির মাছ ও চিংড়ির খাদ্য তৈরি করা যাবে। মেশিনটিতে এডভান্সড মিলিং টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে ফলে এটি একটানা ১০-১২ ঘন্টা খাদ্য উৎপাদন করতে পারবে। এর মাধ্যমে ঘন্টায় ৭০-৮০ কেজি খাবার উৎপাদন করা সম্ভব ও প্রতি কেজি খাদ্য উৎপাদনে খরচ হবে ৩৮-৪০ টাকা যা বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি ফিড মিল ৫৮-৬০ টাকায় ক্রয় করতে হয়।
উদ্ভাবিত মেশিনটি দিয়ে মাছের খাদ্যের পাশাপাশি হাঁস, মুরগি, কবুতরসহ অন্যান্য যেকোনো পাখির খাদ্য তৈরি করা সম্ভব যা মৎস্য সেক্টরের পাশাপাশি পোলট্রি শিল্পে এক অপার সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিবে বলে জানিয়েছেন মেশিনটির উদ্ভাবক।
সান নিউজ/কেএমএল