সান নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় মূল হোতা আজিমসহ জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। শনিবার (২৩ জুলাই) সকাল ৯ টায় র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আফসার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে বেলা ১১টায় বিস্তারিত ব্রিফিং করবেন র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এম এ ইউসুফ।
আরও পড়ুন: ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী আর নেই
তিনি বলেন, শুক্রবার (২২ জুলাই) চট্টগ্রামের রাউজান, জেলা শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় রাতভর অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র। বাকি তিনজন বহিরাগত।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. শহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্তদের শনাক্ত করতে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। গতকালও (বৃহস্পতিবার) বেশ কিছু জায়গায় অভিযান চালায় প্রশাসন।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক অপশক্তির পৃষ্ঠপোষক বিএনপি
চট্টগ্রামের রাউজান এলাকা থেকে চবির দুই শিক্ষার্থীকে আটক হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযানে কাউকে আটক করা হয়েছে কিনা সেটা এখন বলা যাবে না। শুধু আটক করলেই তো হবে না, যাচাই-বাছাই করা হবে যাতে এ ঘটনায় প্রকৃত জড়িতদের সনাক্ত করা যায়।
এর আগে গত রোববার (১৭ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকায় পাঁচ তরুণের হাতে যৌন নিপীড়ন ও মারধরের শিকার হওয়ার অভিযোগ করেন এক ছাত্রী। তিনি ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। পরে এ ঘটনায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশসান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। গত বুধবার বিকেলে এ ঘটনায় তিনি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ১০ ধারায় এই মামলায় অজ্ঞাত পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জিম্বাবুয়ে সিরিজে অধিনায়ক সোহান
ভুক্তভোগী ছাত্রীর জমা দেওয়া অভিযোগপত্র এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রীতিলতা হলের সংলগ্ন এলাকা (হতামার মোড়) থেকে ওই ছাত্রী তার বন্ধুকে নিয়ে হলে ফিরছিলেন। এ সময় দুটি মোটরসাইকেলে পাঁচজন যুবক এসে তাদের বোটানিক্যাল গার্ডেনের পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়।
অভিযোগপত্রে ওই ছাত্রী বলেন, ‘আমাকে এবং আমার বন্ধুকে বিনা কারণে অযাচিতভাবে মারধর করে বোটানিক্যাল গার্ডেনের পেছনে ঝোপঝাড় নির্জন এলাকায় নিয়ে যায় এবং আমার গায়ে কাপড় খুলে মোবাইল ফোনে ভিডিও করে এবং সেই ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে শারীরিক সম্পর্কে যেতে চায়।’
আরও পড়ুন: আইভীর বিরুদ্ধে ভাঙচুরের মামলা
ছাত্রীর অভিযোগ, বিষয়টিতে রাজি না হওয়ায় তাকে মারধর করে এবং শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেয়। পরে সুবিধা করতে না পেরে ওই ছাত্রী এবং তার বন্ধুর মানিব্যাগ ও মোবাইল কেড়ে নিয়ে চলে যায় দুর্বৃত্তরা।
ঘটনার পর গত বুধবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত, ছাত্রী হেনস্তার বিচারসহ চার দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি নিয়ে এখনো উত্তাল আছে চবি ক্যাম্পাস। বিক্ষোভ হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও।
সান নিউজ/কেএমএল