মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫
শিক্ষা প্রকাশিত ২২ জুন ২০২২ ০৮:৪৪
সর্বশেষ আপডেট ২২ জুন ২০২২ ০৮:৪৪
৫৭ বছরেও 

রাবির জিমনেসিয়ামে লাগেনি আধুনিকতার ছোঁয়া

রাবি প্রতিনিধি: প্রতিষ্ঠার পর থেকে অনেক অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও ৫৭ বছর আগে নির্মিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়ামটিতে এখনো লাগেনি আধুনিকতার ছোঁয়া। ১৯৬৫ সালে পাকিস্থানী আমলে পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীর শরীরচর্চা ও খেলাধুলার জন্য নির্মিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়ামটি।

কিন্তু এখন শিক্ষার্থী বেড়ে ৪০ হাজার হলেও এর অবকাঠামোগত কোনো উন্নয়ন হয়নি। ফলে জিমনেসিয়ামের ভেতরে শিক্ষার্থীদের গাদাগাদি করে শরীরচর্চা ও খেলাধুলা করতে হচ্ছে। জিমনেসিয়ামটি আধুনিকায়নে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জিমনেসিয়ামের ভেতরের পশ্চিম-দক্ষিণ দিকে বাস্কেট বলের কোর্ট এবং উত্তর-পূর্ব দিকে তাইকোয়ান্দোর কোর্ট করা হয়েছে। এছাড়া ফ্লোরের মাঝখানে ব্যাডমিন্টন খেলা হয়। সবগুলো কোর্ট পাশাপাশি হওয়ায় শিক্ষার্থীরা খেলতে গিয়ে একে অপরের সঙ্গে ধাক্কা লাগছে।

শরীরচর্চা বা ব্যায়ামের জন্য জিমনেসিয়ামটিতে রয়েছে একটি ব্যায়ামাগার। আয়তন ছোট হওয়ায় এবং সরঞ্জামাদি কম থাকায় সেখানে আসা সব শিক্ষার্থী একসঙ্গে ব্যায়াম করতে পারছেন না। সুযোগ না পেয়ে অনেক শিক্ষার্থীকে ব্যায়াম না করেই চলে যেতে দেখা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পাকিস্তান আমলে নির্মিত এ জিমনেসিয়ামের ভেতর একসঙ্গে তিনটি খেলা পরিচালনা করতে হিমশিম খেতে হয়। জিমনেসিয়ামের ভেতরে খেলোয়ারদের বিশ্রামাগার ও কোনো অতিথি কক্ষ নেই। ব্যায়ামাগারের অবস্থা আরও শোচনীয়। এসির কোনো ব্যবস্থা নেই, ফ্যান ছিল তাও নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। ব্যায়াম শুরুর আগেই শিক্ষার্থীদের ঘাম ঝরতে শুরু করে। ব্যায়ামাগারে শরীরচর্চার পর্যাপ্ত সরঞ্জামাদিও নেই।

তবে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সরঞ্জামাদি কেনার জন্য ১০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন। তবে এখনো তা কেনা হয়নি।

শারীরিক শিক্ষা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দাবি, আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত উডেন ফ্লোর মাল্টি জিমনেসিয়াম তৈরি করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা ও শরীরচর্চার দিকে আরও মনোনিবেশ করতে পারবেন। সেখানে একসঙ্গে ছয় থেকে সাতটি খেলা পরিচালনা করা যাবে এবং জিমনেসিয়ামের ভেতরেই আবাসন ব্যবস্থা ও অফিস কক্ষ থাকবে।

জিমনেসিয়ামে আসা গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী আজিম মোল্লা বলেন, আমাদের জিমনেসিয়ামে ব্যায়ামাগারের অবস্থা খুবই শোচনীয়। পর্যাপ্ত সরঞ্জামাদি না থাকায় একজন ব্যায়াম করলে আরেকজনকে অপেক্ষা করতে হয়। অনেকে ব্যায়াম না করেও ফিরতে হয়। তার ওপরে ফ্যানও নেই ব্যায়ামাগারে।

বাস্কেটবল খেলতে আসা গ্রাফিক ডিজাইন বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিদ হোসেন বলেন, জিমনেসিয়াম ভেতরে অল্প জায়গাতেই আমাদের খেলাধুলা করতে হয়। বাইরে বাস্কেটবলের মাঠেও অনুশীলনের মতো পরিবেশ নেই। জিমনেসিয়ামের পেছনেই আবার ময়লা-আবর্জনা ও ঝোপঝাড়ে ভরা। সেখান থেকে ময়লার দুর্গন্ধ আসে।

রাবির শারীরিক শিক্ষা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আছাদুজ্জামান বলেন, ১৯৬৫ সালে যখন জিমনেসিয়ামটি প্রতিষ্ঠিত হয় তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংখ্যা ছিল মাত্র পাঁচ হাজার। এখন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪০ হাজার হওয়ায় এ জিমনেসিয়ামে জায়গা হচ্ছে না। উডেন ফ্লোর মাল্টি জিমনেসিয়াম নির্মাণ করার জন্য ইউজিসির কাছে আবেদন জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য। সেখানে বিভিন্ন রকম খেলার ব্যবস্থা, আবাসন ব্যবস্থা ও জিমনেসিয়ামের অফিস থাকবে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে রাবিতে কোনো স্বতন্ত্র ব্যায়ামাগার নেই। এখানে একসঙ্গে ৩০ জনের মতো ব্যায়াম করতে পারে যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর তুলনায় একেবারেই কম।

তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, সরকার ও ইউজিসির কাছে জিমনেসিয়ামের পরিধি বাড়ানো ও আধুনিকায়নের দাবি জানান তিনি।

সান নিউজ/এনকে

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সংহতি জানালো মুক্তিজোট

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে সোমবার (৭ এপ্রিল) বিশ্বব্যাপী হরতাল পালনের আহ্বান জ...

ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুরে হরতাল অবরোধ

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান ধ্বংসযজ্ঞ...

নীলফামারীতে বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস অনুষ্ঠিত

‘সাহসী ও দায়িত্বশীল আগামীর প্রজন্ম’ প্...

বগুড়ায় খুন করে হাসপাতালে রেখে গেল লাশ

বগুড়ার শেরপুরে পরকীয়ার জেরে কাবিল হোসেন (৪০) নামের...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা