ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। যার নেপথ্যে রয়েছেন বহিরাগতরা। গতকাল বুধবার (১৩ এপ্রিল) ইফতারির আগে ক্যাম্পাসের জিয়া মোড়ে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ধর্মের সঙ্গে বৈশাখকে মেলাবেন না
জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে ক্যাম্পাসে মোটরসাইকেল নিয়ে ঢুকে বহিরাগত রকি, শান্তসহ কয়েকজন। এসময় জিয়া মোড়ে দাড়িয়ে থাকা আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী হাসিবের গায়ে গাড়ির লুকিং গ্লাসের ধাক্কা লাগে। এসময় হাসিব ক্ষিপ্ত হয়ে রকিকে থাপ্পড় দেয়। পরে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাসিব, সালমানসহ তাদের সহযোগীদের সাথে বহিরাগত রকি ও তার বন্ধুদের মারামারি হয়। হাসিব, সালমানসহ তার সহযোগীরা ছাত্রলীগ নেতা শাহজালাল সোহাগের অনুসারী। এদিকে বহিরাগত রকি ছাত্রলীগ নেতা বিপুল হোসেন খানের শ্যালক বলে জানা গেছে।
এরপর ঘটনাস্থলে ছাত্রলীগ নেতা বিপুল ও শাহজালাল সোহাগ আসলে তাদের দুগ্রুপের কর্মীদের মাঝে বাকবিতন্ডা হয়। এসময় উভয় গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরপর উভয় গ্রুপের কর্মীরা ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়। এসময় ক্যাম্পাসে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে প্রক্টরিয়াল বডির সহায়তায় পরিস্থিতি শান্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: পহেলা বৈশাখে বাঙালি জেগে ওঠে নবপ্রাণে
পরে রাত সাড়ে সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধ করতে প্রক্টরের সাথে দেখা করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ক্যাম্পাসে বহিরাগত এসে এরকম কর্মকান্ড করবে তা দুঃখজনক। বহিরাগতরা যেন ক্যাম্পাসে ঢুকে এমন না করতে পারে সে বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিব। এছাড়া ছাত্রলীগের নেতারা যেন ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের নিয়ে না ঘুরেন সে আহ্বানও করেন তিনি।
এছাড়াও তিনি বলেন, গতকালের বিষয়টি নিয়ে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। চার কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছি। প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
সান নিউজ/এনকে