মেহেদি হাসান সাকিব, বশেমুরবিপ্রবি: গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টরিয়াল বডির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে বশেমুরবিপ্রবি প্রেসক্লাব।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ল
সংবাদ সম্মেলনে বশেমুরবিপ্রবি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কে.এম. ইয়ামিনুল হাসান আলিফ বলেন, গত ২৮ ফেব্রুয়ারী বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণের প্রেক্ষিতে আন্দোলন চলমান অবস্থায় একটি সংগঠন কর্তৃক বশেমুরবিপ্রবি প্রেসক্লাব ও আমার বিরুদ্ধে অপ-প্রচার চালানো হয়। যা ডিজিটাল আইনের পরিপন্থীর পাশাপাশি আমার চরমভাবে মানহানি হয়।
এরপর এ বিষয়ে ২ মার্চ বশেমুরবিপ্রবি প্রক্টর বরাবর অপ-প্রচার চালানো, গুজব সৃষ্টি, বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা এবং ব্যক্তি মানহানি করায় একটি সংগঠনের বিরুদ্ধে প্রমাণ দাখিল পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করা হয়। আবেদন প্রদানের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোঃ রাজিউর রহমান ও সহকারী প্রক্টর মোঃ সাদ্দাম হোসেন বিষয়টি ঠিক হয়নি বলে স্বীকার করেন ও গত ৬ মার্চের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগের পাশাপাশি পরবর্তীতে একাধিকবার মৌখিকভাবে জানানোর পরেও ঘটনার পর ১৫ দিনে অতিবাহিত হলেও বিষয়টির সমাধানের কোনো চেষ্টা করা হয়নি। প্রক্টরিয়াল বডির মতো জায়গায় থেকে তাদের নিরপেক্ষতা চরমভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে মনে করছি।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ৪ মাস পর বুস্টার
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ‘এর পূর্বেও আমাকে ও বশেমুরবিপ্রবি প্রেসক্লাবকে জড়িয়ে একাধিক সাইবার ক্রাইমের ঘটনা ঘটেছে। যে সকল বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি ও প্রক্টরিয়াল বডির কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরেও কোনোরকম বিচার পাইনি।’
সংবাদ সম্মেলনে দৈনিক মানবজমিনের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি সিফাত রাকা, দৈনিক জনতার ইশতেহার পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি দৈনিক নয়া দিগন্ত ও বাংলাভিশন (অনলাইন) এর বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা সজিবুর রহমান, দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিনের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি জয়নাল আবেদীন জিহান, একাত্তর পোস্টের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি শিমুল সরদার, রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য সচিব সাজ্জাতুজ জামান সুজন ও সাংবাদিক ফোরামের হৃদয় সরকার।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার টাকা খেয়েছেন বাইডেন
এদিকে এ ঘটনায় আল্টিমেটাম, কলম বিসর্জনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবি প্রক্টর ড. রাজিউর রহমানকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি এবং সহকারী প্রক্টর মোঃ সাদ্দাম হোসেন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
সান নিউজ/এমকেএইচ