খোরশেদ আলম, রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের হল সম্মেলনকে সামনে রেখে ১৭টি আবাসিক হলে পর্যায়ক্রমে কর্মী সমাবেশ শুরু হয়েছে। প্রথমদিন সোমবার (৭ মার্চ) দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শের-ই-বাংলা ফজলুল হক এবং মতিহার হলে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: সুচরিতা আমার মায়ের মতো
এরপর দ্বিতীয় দিন (৮ মার্চ) শাহ্ মখদুম, সৈয়দ আমীর আলী এবং নবাব আব্দুল লতিফ হল, তৃতীয় দিন (৯ মার্চ) শহীদ ড. শামসুজ্জোহা, সোহরাওয়ার্দী এবং মাদর বখশ হলে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। শেষ দিন (১০ মার্চ) মেয়েদের হলসমূহ এবং শহীদ হবিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমান হলে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
কর্মী সমাবেশের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘আগামী ১৪ মার্চের হল সম্মেলনকে সামনে রেখে কর্মী সমাবেশ করা হচ্ছে। সম্মেলনকে সফল করতে কর্মীরা কি ভাবছে, তারা কি করতে চাই, কোন ধরনের নেতৃত্ব চাই সেসব বিষয়ে কথা হচ্ছে। পাশাপাশি পদ প্রত্যাশীদের মতামত নিচ্ছি। একই সাথে সম্মেলনকে সফল করতে তাদের কাছে থেকে কিছু দিকনির্দেশনা নিচ্ছি এবং আমরা তাদের দিকনির্দেশনা দিচ্ছি।’
এদিকে দীর্ঘ ছয় বছর পর আগামী ১৪ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের হল সম্মেলন। সম্মেলনকে সামনে রেখে সরগরম হয়ে উঠেছে পুরো ক্যাম্পাস। কে আসছেন হলের দায়িত্বে এ নিয়ে আবাসিক শিক্ষার্থী ও নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
আরও পড়ুন: পাইলটের দক্ষতায় বেঁচে গেছি
এছাড়া পদপ্রত্যাশীদের ব্যানার ও পোস্টারে ছেয়ে গেছে ক্যাম্পাসের টুকিটাকি চত্বর, বিভিন্ন একাডেমিক ভবন ও আবাসিক হলগুলো। প্রতিদিন রাতে বিভিন্ন হলের পদপ্রত্যাশীরা কর্মীদের নিয়ে ঝটিকা মিছিল বের করছে। সব মিলিয়ে ক্যাম্পাসে এক উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ৬ বছর পর এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর আগে গত ২০২০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি হল সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও তা ‘অনিবার্য’ কারণ দেখিয়ে স্থগিত করা হয়।
আরও পড়ুন: রুশ হামলায় ইউক্রেনে মেয়র নিহত
ছাত্রলীগ দফতর সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালে হল সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পর পদ প্রত্যাশীদের কাছ থেকে সিভি আহ্বান করা হয়। এতে সম্মেলনের জন্য ১৭ টি হল থেকে মোট ৪১৬ জন পদ প্রত্যাশী সিভি জমা দেন।
হল সম্মেলনের বিষয়ে জানতে চাইলে গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘অবশ্যই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আদর্শিত ও প্রকৃত সৈনিকদেরই হল সম্মেলনের নেতৃত্বে নিয়ে আসা হবে। জামাত-শিবিরদের প্রতিহত করতে এবং আগামী দিনের নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিটি হলে ক্লিন ইমেজধারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা আছে এমন নেতৃত্বই আনা হবে।’
সান নিউজ/এমকেএইচ