নিজস্ব সংবাদদাতা: বাংলাদেশের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনলাইনে বদলি প্রক্রিয়া মার্চ মাসের মধ্যেই শুরু হবে বলে জানিয়েছে।
আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সচিবালয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকদের বদলির বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবো। আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। ডিজিটাল ও গতানুগতিক পদ্ধতিতে এবার শিক্ষকদের বদলি প্রক্রিয়া মার্চের মধ্যে শুরু করবো।
তিনি আরও জানান, অনলাইনে ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষক বদলি কার্যক্রম শুরু করতে দেরি হয়ে গেছে।
অনলাইন বদলি নীতিমালা তৈরি করে অনলাইনে শিক্ষকদের বদলি প্রক্রিয়া শুরু করতে ২ বছর পূর্বেই শিক্ষক বদলি বন্ধ রাখা হয়। ২০২০ সালের শুরুতে অনলাইনে শিক্ষক বদলি শুরু করার কথা থাকলেও তা হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন বদলি বন্ধ থাকায় বদলি হতে চাওয়া শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, অনলাইনে কিছু কাজ বাকি আছে। সেগুলো শেষ হলেই বদলি প্রক্রিয়া শুরু হবে।
এদিকে সর্বশেষ গত জানুয়ারিতে অনলাইনে শিক্ষক বদলি শুরু করার কথা জানিয়েছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
এরপর মন্ত্রণালয় থেকে ফেব্রুয়ারিতে বদলি কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।
প্রসঙ্গত’ চলতি বছরের এসএসসি ও এসচএসসি পরীক্ষার সম্ভাব্য সময় জানিয়েছেন, শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি। তবে তার আগে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ফের ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করলো ইরান
এদিকে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে খোলার ঘোষণাও দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি আরেও বলেন, ওই দিন থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীরে ক্লাস শুরু হবে। তবে ২ ডোজ টিকা নেওয়া ছাড়া শিক্ষার্থীরা ক্লাসে অংশ নিতে পারবেন না বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
সান নিউজ/ এইচএন