খোরশেদ আলম, রাবি: ‘আহা আজি এ বসন্তে, এত ফুল ফোটে, এত বাঁশি বাজে, এত পাখি গায়, আহা আজি এ বসন্তে’। কৃষ্ণচূড়ার ডালে লেগেছে আগুন, বাতাসে দুলছে ফাগুন। গাছে গাছে মেলেছে শিমুল। শীতকে হার মানিয়ে দক্ষিণা হাওয়ার গুঞ্জণও লেগেছে। বাতাসে ফুলের গন্ধ ভেসে এসে বলছে-বসন্ত এসে গেছে।
পহেলা ফাল্গুনে ঋতুরাজকে বরণ করতে সারাদেশের মতো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও উচ্ছ্বাসে মেতেছে তরুণ প্রাণ।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বসন্তকে বরণ করতে সকাল থেকেই শাড়ি, পাঞ্জাবি পরে ক্যাম্পাসে আসতে শুরু করে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা প্রাঙ্গণ, টুকিটাকি চত্বর, ইবলিশ চত্বর, পশ্চিমপাড়া, পরিবহন মার্কেট ও শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ।
কেউ বন্ধু-বান্ধবীর সঙ্গে, কেউ প্রিয় মানুষটির সঙ্গে, কেউবা পরিবারের সঙ্গে উৎসবে মেতে উঠেছেন। সবাই একে অপরের সঙ্গে বিনিময় করছেন বসন্তের শুভেচ্ছা। সেই সঙ্গে সেলফি তো আছেই। সব মিলিয়ে ক্যাম্পাসে বসন্ত বরণে উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী বাপ্পি সরকার বলেন, করোনায় ক্যাম্পাস বন্ধ। সেজন্য ক্যাম্পাসে কোন অনুষ্ঠান বা উৎসব নেই। তবুও আজ ক্যাম্পাসকে একটু নতুনরূপেই দেখছি। ক্যাম্পাস সেজেছে বাসন্তী রঙে। প্রিয় মানুষদের সঙ্গে অনেক ভালো সময় কাটছে,ভালো লাগছে।
আরও পড়ুন: ফের ট্রলের শিকার শ্রাবন্তী
বসন্ত বরণে ক্যাম্পাসে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই নয়, আশেপাশের স্কুল-কলেজ থেকেও অনেককে আসতে দেখা গেছে। অনেকে এসেছেন পরিবারসহ ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক একজন শিক্ষার্থী ও রাজশাহী নিউ গভঃ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক জুয়েল কিবরিয়া সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে ক্যাম্পাসে এসেছেন বাসন্তকে বরণ করতে।
আরও পড়ুন: দেশবিরোধী বিএনপিকে পরাস্ত করা হবে
জুয়েল কিবরিয়া বলেন, পহেলা বসন্ত ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস একই দিনে। আর এমন দিন মানেই তো রাবি ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ। রঙ ছড়াবে পুরো ক্যাম্পাস। তাই পরিবারসহ চলে এলাম ঘুরতে। ক্যাম্পাস জীবনের স্মৃতি মনে পড়ছে। বসন্তকে বরণ করতে কতই না আয়োজন থাকতো আমাদের সময়।
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বন্ধ রয়েছে রাবির ক্লাস। সে জন্য বসন্তবরণে কোন ধরনের উৎসব পালন হচ্ছে না। আর চলতি মাসেই ট্রাক চাপায় চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী মারা যাওয়ায় চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকেও নেই কোন আয়োজন।
সান নিউজ/এমকেএইচ