নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজধানীর মিরপুরের একটি মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আজ রোববার ( ৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে মিরপুর জামিয়া সিদ্দীকিয়া নুরানি মহিলা মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ঢাকা সিভিল সার্জন উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা ও অধিদপ্তরের করোনার টিকাবিষয়ক কমিটির সদস্যসচিব ডা. শামসুল হক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
টিকাদান বিষয়ে সরকারের করোনা টিকা ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. শামসুল হক জানান, ঢাকায় ভাসমান মানুষ ও ঢাকাসহ সারা দেশে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেওয়া শুরু হবে। পরে বাদ পড়া অন্য জনগোষ্ঠীদেরও টিকা দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সরকার ২ মাস পূর্বে ১২-১৭ বছর বয়সি শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেওয়া শুরু করে। তখন একই বয়সি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় আসে।
সরকারি হিসাবে দেশে কওমি মাদ্রাসা আছে ১৯ হাজার ১৯৯টি। এসব মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪ লাখের বেশি।
প্রসঙ্গত, দেশে করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) টিকাদান কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি (বুধবার) বিকেল সাড়ে ৩টার পর রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে।
গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত থেকে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পরপরই নিবন্ধনের জন্য অনলাইন ‘সুরক্ষা’ প্ল্যাটফর্ম খুলে দেওয়া হয়। ফেব্রুয়ারির ৭ তারিখ থেকে দেশব্যাপী ব্যাপকহারে এ কার্যক্রম চালানো হয়।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর প্রথম টিকা নেন হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু বেরোনিকা কস্তা।
আরও পড়ুন: পাহাড়ে চিরুনি অভিযান
এরপর পর্যায়ক্রমে চিকিৎসক হিসেবে প্রথম টিকা নেন মেডিসিন কনসালট্যান্ট ডা. আহমেদ লুৎফর মবিন, তারপর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, ট্রাফিক পুলিশের সদস্য দিদারুল ইসলাম এবং সেনা বাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরান হামিদ।
সান নিউজ/ এইচএন