নিজস্ব প্রতিবেদক :
চূড়ান্তভাবে আরো ৪ হাজার ৯২০ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে এমপিওভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আয়োজিত মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের এমপিও কমিটির সভায় এসব শিক্ষক-কর্মচারীকে এমপিওভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এদের মধ্যে নতুন এমপিওভুক্ত স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারী আছেন ৩ হাজার ১৯৯ জন। আর কলেজের ১ হাজার ৭২১ জন শিক্ষক-কর্মচারী আছেন।
নতুন এমপিওভুক্ত হওয়া স্কুলের ৩ হাজার ১৯৯ জন শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে বরিশাল অঞ্চলের ৮৬ জন, চট্টগ্রাম অঞ্চলের ২১৮ জন, কুমিল্লা অঞ্চলের ১৪০ জন, ঢাকা অঞ্চলের ৫৫৩জন, খুলনা অঞ্চলের ৬৬৮ জন, ময়মনসিংহ অঞ্চলের ৬১০ জন, রাজশাহী অঞ্চলের ৩৭৯ জন, রংপুর অঞ্চলের ৩১৩ জন এবং সিলেট অঞ্চলের ৯২ জন শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন।
নতুন এমপিও পাওয়া কলেজের ১ হাজার ৭২১জন শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে বরিশাল অঞ্চলের ১৪৪ জন, চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৭৫ জন, কুমিল্লা অঞ্চলের ২৯ জন, ঢাকা অঞ্চলের ১৯১ জন, খুলনা অঞ্চলের ৪১৫ জন, ময়মনসিংহ অঞ্চলের ১০৫ জন, রাজশাহী অঞ্চলের ৩২০ জন, রংপুর অঞ্চলের ৩৭০ জন এবং সিলেট অঞ্চলের ৭২ জন শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন।
গত বছরের জুলাই থেকে দুটি ঈদ উৎসব ভাতা, বৈশাখী ভাতা ও মে মাস পর্যন্ত বেতন পাচ্ছেন নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পূর্বঘোষণা অনুযায়ী গত বছরের ১ জুলাই থেকে এরিয়াসহ পাচ্ছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।
সবচেয়ে বেশি এমপিও পেয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদফতরের অধীনস্থ স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা।
এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এমপিও পেয়েছেন মাদরাসার শিক্ষকরা।
দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর পর গত ২৩ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২ হাজার ৭৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিভুক্তির ঘোষণা দেন। এরপর দীর্ঘ ছয় মাস যাচাই-বাছাই শেষে গত ২৯ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ ১ হাজার ৬৩৩ এবং কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগ ৯৮২টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা চূড়ান্ত করেন।
এই ২ হাজার ৬১৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীরা এমপিওর আবেদনের সুযোগ পান। তবে এখন পর্যন্ত ১৩ হাজার ১৪ জন শিক্ষক-কর্মচারী এমপিওভুক্ত হয়েছেন।
ফলে এখনো প্রায় ১৭ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী এমপিওর বাইরে রয়ে গেছেন।
সান নিউজ/সালি