সান নিউজ ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) অনুষ্ঠিত ‘কাওয়ালি’ গানের আসরে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। হামলায় অনুষ্ঠানের মঞ্চ, চেয়ার ও গানের বাদ্যযন্ত্র ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে টিএসসি মিলনায়তনে এই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। হামলায় ছাত্রলীগের হল শাখার নেতাকর্মীরা অংশ নেয়।
হামলায় জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক রাব্বী হক, কর্মী ফরিদ জামান, জসীমউদদীন হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী তুষারসহ শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেয়।
আয়োজকদের অভিযোগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের ইন্ধনে এই হামলা চালানো হয়েছে। আয়োজনের শুরু থেকেই সাদ্দাম হোসেন নানাভাবে এই কাওয়ালি গানের আসর না করার জন্য নিষেধ করে আসছিল। এর প্রেক্ষিতে টিএসসিতে টানানো ওই প্রোগ্রামের ব্যানারও নামিয়ে ফেলার চেষ্টা করেন তিনি।
এছাড়াও বিভিন্ন হলের মেসেঞ্জার গ্রুপেও প্রোগ্রামে না আসার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। এমতাবস্থায় বুধবার সন্ধ্যায় প্রোগ্রামের শুরুতেই ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী অতর্কিত এসে হামলা চালায়। এ সময় অনুষ্ঠানের মঞ্চ, বাদ্যযন্ত্র, চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। বেশ কয়েকজনকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আয়জকরা আরো জানান, গত সপ্তাহে তারা টিএসসির পরিচালক আকবর হোসেনের অনুমতি নেয়। এরপর তাদের কার্যক্রম শুরু করে। আজ দিনের মধ্যে স্টেইজের কার্যক্রম সম্পন্ন করলেও বিকেলে সাউন্ড সিস্টেমের কাজ শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু সাউন্ড সিস্টেমের দায়িত্বে থাকা তৈয়েব জানান, সাদ্দাম হোসেন তাকে নিষেধ করেন। পরে তারা অন্য জায়গা থেকে সাউন্ড সিস্টেম ভাড়া করে আনে। এর আগেই সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী বিভিন্ন হলের নেতাকর্মীরা এসে অনুষ্ঠানে হামলা করে। এতে তাদের বেশ কয়েকজন আহত হন।
আয়োজকদের মধ্যে অন্যতম হুজাইফা আল মামদূহ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আজকে আমরা কাজ শুরু করার আগে টিএসসির পরিচালক আকবর তাদেরকে জানান, সাদ্দাম ফোন দিয়ে এই প্রোগ্রাম করতে নিষেধ করেছে। তিনি আমাদের সাদ্দামের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। পরে সাদ্দাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টরকে দিয়েও অনুষ্ঠানটি না করতে চাপ প্রয়োগ করেন। যদিও আমরা প্রোগ্রামটি করার চেষ্টা করি। সাদ্দাম হোসেন কোনভাবে প্রোগ্রামটি বাতিল করতে না পেরে তার পোলাপানকে দিয়ে হামলা করায়।’
অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এই গানের আসর নিয়ে আয়োজকদের মধ্যে মতবিরোধ ছিলো বলে জানতে পেরেছি। সেই মতবিরোধ থেকে এই ধরনের হামলা হয়ে থাকতে পারে। এই হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগের ন্যূনতম সাংগঠনিক সম্পৃক্ততা নেই।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, কারা হামলা চালিয়েছে জানি না। হামলাকারীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সান নিউজ/এনএএম