সান নিউজ ডেস্ক: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আজ। ৫০ পেরিয়ে ৫১ বছরে পদার্পণ করল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৭১ সালের ১২ জানুয়ারি ১৫০ জন ছাত্র ও চারটি মাত্র বিভাগ নিয়ে দেশের একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়টি যাত্রা শুরু করে। ২০০১ সালের ১২ জানুয়ারি থেকে এ দিনটিকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে পালন করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
১৯৭০ সালের ২০ আগস্ট তৎকালীন সরকার এক অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকার পূর্ব নাম জাহাঙ্গীরনগরের সঙ্গে মিলিয়ে জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় নামকরণ করে। এরপর ১৯৭১ সালের ১২ জানুয়ারি পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আহসান বিশ্ববিদ্যালয় আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট পাস হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় রাখা হয়।
রাজধানীর অদূরে সাভারের নিরিবিলি ও মনোরম পরিবেশে গড়ে ওঠা জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ৩৪টি বিভাগ ও চারটি ইনস্টিটিউট রয়েছে। এসব বিভাগে সাত শতাধিক শিক্ষক ও ১৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছেন। আগের ১৬টি হলের সঙ্গে শিগগিরই যোগ হবে নতুন ছয়টি হল। এগুলোর নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। হলগুলো চালুর পর বিশ্ববিদ্যালয় তার আবাসিক চরিত্র ফিরে পাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
শীতকালে অতিথি পাখিদের কলকাকলি, জলকেলি আর খুনসুটিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে সারা ক্যাম্পাস। মূলত নভেম্বর মাস থেকেই ক্যাম্পাসের বিভিন্ন লেকগুলোতে এসব অতিথি পাখিরা আসতে শুরু করেছে।
জলাশয়ের পাড়ে সরালিরা ঝাঁক বেঁধে উড়ছে সাঁই সাঁই করে। আবার পরক্ষণেই ঝাঁপ দিচ্ছে জলাশয়ে। কোনোটি আবার সাঁতার কাটছে আপন মনে।
পদ্মে ঘেরা জলাশয়গুলোতে প্রতিনিয়ত অথিতি পাখিদের এসব জলকেলি আর খুনসুটি দেখে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরই নয় বরং প্রতিনিয়ত এখানে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের চিত্তও আনন্দে নেচে উঠে। মনে পড়ে যায় গ্রামবাংলার চিরচেনা সেই মনোরম সবুজ পরিবেশের কথা। কিছুটা সময়ের জন্য হলেও শহুরে যান্ত্রিক জীবন থেকে মুক্তি পেতে আর ধুলাবালি মুক্ত প্রাকৃতিক বায়ুতে নিঃশ্বাস নিতে প্রতিদিন ক্যাম্পাসটিতে ভিড় করছে শত শত পাখিপ্রেমী।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছোট-বড় ১০ থেকে ১২টি লেক থাকলেও পাখি আসে মূলত চারটি লেকে। সাধারণত হিমালয়ের উত্তরের দেশ সাইবেরিয়া, চীন, মঙ্গোলিয়া ও নেপালে এই সময়টায় প্রচুর তুষারপাতের কারণে পাখিরা বাংলাদেশের মতো নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলগুলোতে চলে আসে। তাই দূর-দূরান্ত থেকে আসা এসব পাখিকে স্বাগত জানায় জাবি ক্যাম্পাস। শীত চলে গেলে তারাও চলে যায় তাদের আপন ঠিকানায়।
বিশ্ববিদ্যালয়টির শ্যামল পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর। বিশ্ববিদ্যালয়ের অসংখ্য জলাশয় একে পরিযায়ী পাখির অভয়ারণ্য হিসেবে গড়ে তুলেছে যার ফলে এটি পাখি পর্যবেক্ষকদের এক পছন্দের জায়গা। এটিই বাংলাদেশের একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সার্বজনীন স্বীকৃত। সুত্র: উইকিপিডিয়া
সান নিউজ/এনকে