নিজস্ব প্রতিনিধি, কুয়েট: কুয়েটের শিক্ষক প্রফেসর ড. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানসহ ৪ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির করা সুপারিশ অনুযায়ী এসব সিদ্ধান্ত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কাজী সাজ্জাদ হোসেন সভায় সভাপতিত্ব করেন।
আজীবন বহিষ্কার হওয়া চার শিক্ষার্থী হলেন- সাদমান নাহিয়ান সেজান, হাসান আব্দুল কাইয়ুম, মো. কামরুজ্জামান রাজ্জাক ও রিয়াজ খান নিলয়। এ ছাড়া ৭ শিক্ষার্থীকে দুই শিক্ষাবর্ষ বহিষ্কার ও আজীবন হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এক শিক্ষার্থী এক শিক্ষাবর্ষ বহিষ্কার, ২২ শিক্ষার্থীকে এক শিক্ষাবর্ষ স্থগিত বহিষ্কার ও ১০ শিক্ষার্থীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মোট ৪৪ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ নভেম্বর ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের অধ্যাপক ও লালন শাহ হলের প্রাধ্যক্ষ সেলিম হোসেন ক্যাম্পাসের কাছের ভাড়া বাসায় মারা যান। মৃত্যুর পর অভিযোগ ওঠে, মৃত্যুর দিন দুপুরে বাসায় ফেরার পথে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অধ্যাপক সেলিমকে বিভাগে তার কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে তার ওপর মানসিক নিপীড়ন চালানো হয়। এ ছাড়া কুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানসহ কয়েকজন ছাত্র তাদের মনোনীত প্রার্থীকে ডাইনিং ম্যানেজার করার জন্য সেলিম হোসেনকে নিয়মিত চাপ দিয়ে আসছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি বলছে, এটি হত্যাকাণ্ড। অধ্যাপক সেলিমের পরিবারও এটিকে হত্যাকাণ্ড বলে অভিযোগ করেছে।
পরে গত ৩ ডিসেম্বর জরুরি সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানসহ ৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে এবং পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। সিন্ডিকেটের ওই সভায় ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়; যা ২৩ ডিসেম্বরের আরেকটি জরুরি সভার মাধ্যমে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
সান নিউজ/এমকেএইচ