নিজস্ব প্রতিবেদক: শিক্ষার্থীর দিক থেকে সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান সরকারি তিতুমীর কলেজে নেই কোনো খাবার ক্যান্টিন। এর ফলে শিক্ষার্থী ও বাইরে থেকে আসা পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। ক্যান্টিন না থাকায় শিক্ষার্থীদের কষ্টের কথা উঠে আসে ছাত্রনেতৃবৃন্দের কাছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা শীর্ষক আলোচনা 'খোলামত' অনুষ্ঠানে।
শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় তিতুমীর কলেজের ছাত্র সংসদের সামনে 'আপনার প্রশ্ন, আপনার অধিকার' শীর্ষক ওই আলোচনার আয়োজন করে তিতুমীর কলেজ সাংবাদিক সমিতির (সতিকসাস)।
শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির কথা শুনে ছাত্রনেতারা জানিয়েছেন, ক্যাম্পাসে ক্যান্টিন স্থাপনের দাবিতে প্রয়োজনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে তারা মানববন্ধন করবেন। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রায় ডজনখানেক দাবি উঠে আসে উন্মুক্ত আলোচনায়।
সাংবাদিক সাব্বির আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অংশ নেন সরকারি তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রিপন মিয়া, ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক জুয়েল মোড়ল, সংগঠক ও বিতার্কিক জাবেদ ইকবাল, সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে মাহমুদা হক মনিরা।
দর্শক সারিতে ছিলেন শতাধিক ছাত্রছাত্রী। সভার উদ্বোধন করেন সাংবাদিক সমিতির উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার।
এক প্রশ্নের জবাবে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন মিয়া বলেন, সরকার শিক্ষার্থীদের সমস্যা নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া কার্যকরের জন্য পরিবহন মালিকদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছে। মহাখালীর কোথাও হাফ পাশ না নেওয়া হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগামী বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের জন্য চারটি নতুন পরিবহন যুক্ত হবে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী আরাফাত হাওলাদার কলেজে ক্যান্টিন প্রতিষ্ঠার দাবি জানালে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল মোড়ল বলেন, আমরাও চাই দেশের সর্ববৃহৎ এই কলেজে ক্যান্টিন প্রতিষ্ঠা হোক। যার জন্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। প্রয়োজন হলে শিক্ষার্থদের নিয়ে মানববন্ধন করবো।
অনুষ্ঠানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন ছিলো বাসের হাফ ভাড়া নিয়ে, বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট, লাইব্রেরি সংস্করণ, মেয়েদের কমন রুম, নামাজ ঘর, ওয়াশরুম সমস্যা, মেডিকেল ক্যাম্প, ক্যাম্পাসের জায়গা বৃদ্ধি, বাসের দাবি, কলেজ ক্যাম্পাসে সুনির্দিষ্ট ডাস্টবিন ব্যবহার, নতুন হলের কাজ, বিভিন্ন সংগঠনের জন্য নিজস্ব কক্ষের ব্যবস্থা প্রসঙ্গে। শিক্ষার্থীদের এসব দাবি যৌক্তিক উল্লেখ করে ছাত্রনেতারা তা ক্রমান্বয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সহযোগিতায় বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন।
শিক্ষার্থী মাহমুদা হক মনিরা জুয়েল মোড়লের কাছে ছাত্রী হেনস্তা নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমাদের কাছে এই ধরনের কোনো অভিযোগ আসলে অবশ্যই ব্যবস্থা নিবো।
বিতার্কিক জাবেদ ইকবাল কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে জানতে চাইলে ছাত্রনেতারা বলেন, ছাত্র সংসদ নির্বচন হওয়ার কথা ছিল কিন্তু করোনার জন্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সেটা সম্ভব হয় নাই। এ বিষয়ে আমরা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলাম। আশা করছি খুব দ্রুতই ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে।
সবাইকে নিয়ে ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণ পরিচ্ছন্ন রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন শিক্ষক পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কামাল উদ্দিন হায়দার।
সান নিউজ/এস