নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনার সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দিতে এক সপ্তাহের মধ্যেই স্কুল শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বুধবার (২৭ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ডা. মিল্টন হলে তৃতীয় গবেষণা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
দীপু মনি বলেন, সারাদেশেই স্কুল শিক্ষার্থীদের টিকা প্রয়োগের লক্ষ্যে নিবন্ধন কার্যক্রম চলছে। এ কাজের আরেকটু অগ্রগতি হলে এক সপ্তাহের মধ্যেই আমরা টিকা দেওয়া শুরু করতে পারবো।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহিদুল্লাহ ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন।
সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন, বিএসএমএমইউ উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন।
এ সময় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আতিকুর রহমানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গবেষণার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, উন্নত জাতি গঠনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করেন গবেষকরা। তাই আমাদের দেশে গবেষণার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।
অনেক সময় গবেষণার বরাদ্দ ফিরে যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা গবেষণা করেন, তারা হয়তো সঠিক নিয়মকানুন মেনে আবেদন করেন না। কোথাও একটা সমস্যা আছে।
‘এ বিষয়ে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। নইলে যারা ভালো গবেষক আছেন, তারা হতাশ হবেন।’
অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, সবাই গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধির কথা বলেন, কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় বরাদ্দকৃত টাকার যথাযথ ব্যবহারও হয় না। তাই বরাদ্দকৃত টাকা ফেরত যায়।
দেশের গবেষণা খাতকে এগিয়ে নিতে ব্যবসায়ীদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান ইউজিসি চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, দেশের উন্নতির জন্য আমি ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করব, আপনারা গবেষণা খাতে কিছু ব্যয় করুন। এতে দেশ লাভবান হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমানে আমরা গবেষণায় গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি, যেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণায় বিশ্বের বুকে রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং গবেষণার ফল প্রকাশ করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, মোট ১৮ শতাংশ হচ্ছে ইন্ডিয়ান বা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট।
তিনি জানান, করোনার টিকাগ্রহীতাদের ওপর গবেষণার ফলে দেখা গেছে, তাদের ৯৮ শতাংশের দেহে অ্যান্টিবডি।
সান নিউজ/এফএআর