নিউজ ডেস্কঃ
গত ৩১ মে প্রকাশিত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না পেয়ে তা পরিবর্তন চেয়ে আবেদন করেছেন ২ লাখ ৩৮ হাজার ৪৭১ জন পরীক্ষার্থী। এই আবেদনকারীরা মোট ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯১৯টি খাতা চ্যালেঞ্জ করেছেন। এদের মধ্যে এসএসসি পরীক্ষায় ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৮৯৮টি, দাখিলের ২৮ হাজার ৪৮৪টি এবং এসএসসি ভোকেশনালের ১৭ হাজার ৫৩৭টি খাতা পুনঃনিরীক্ষার জন্য আবেদন করা হয়েছে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্য মতে, গত বছর ফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদনের সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৯১১টি। সে তুলনায় এ বছর ৮০ হাজারেরও বেশি আবেদন বেড়েছে। এ খাতে প্রতিবছর বোর্ডগুলো কোটি কোটি টাকা আয় করে। প্রতি বিষয় ১২৫ টাকা দরে এ বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডের এ খাতে আয় হয়েছে ২ কোটি ৯৮ লাখ ৮ হাজার ৮৭৫ টাকা।
এ ব্যাপারে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মু. জিয়াউল হক বলেন, ‘বরাবরের মতো অনেক পরীক্ষার্থী নিজেদের ফলে সন্তুষ্ট না হয়ে পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করেছেন। ২০ লাখ শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ২ শতাংশ আবেদন করেছেন, এটা অস্বাভাবিক নয়। নিয়ম অনুযায়ী এসব খাতা নতুনভাবে নিরীক্ষা করা হবে।’
চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আবেদনকারীর মধ্যে যারা এক বা দুই নম্বর কম পাওয়ায় জিপিএ-৫ পাননি অথবা কৌতূহলী হয়েও কেউ কেউ আবেদন করেছেন। তবে এবার তুলনামূলক গণিত বিষয়ের আবেদন বেশি। দায়িত্বে অবহেলা চিহ্নিত হলে পরীক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিভিন্ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ফল পুনঃনিরীক্ষণে সাধারণত চারটি বিষয় দেখা হয়। এগুলো হলো— উত্তরপত্রে সব প্রশ্নের সঠিকভাবে নম্বর দেওয়া হয়েছে কিনা, প্রাপ্ত নম্বর গণনা সঠিক হয়েছে কিনা, প্রাপ্ত নম্বর ওএমআর শিটে উঠানো হয়েছে কিনা এবং প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী ওএমআর শিটে বৃত্ত ভরাট সঠিকভাবে করা হয়েছে কিনা? এসব বিষয় পরীক্ষা করেই পুনঃনিরীক্ষার ফল দেওয়া হয়। তবে পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র ফের মূল্যায়ণের কোনও সুযোগ নেই।
আন্তঃশিক্ষা শিক্ষা বোর্ডের তথ্যমতে, এ বছর ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে ৫৯ হাজার ৭৯০ জন পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৪৬ হাজার ২৬০টি বিষয়ে আবেদন করেছেন। আবেদনের শীর্ষে রয়েছে গণিত সাবজেক্ট বলে বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।