নিজস্ব প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ: গুচ্ছভুক্ত ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম ময়মনসিংহের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে ২৩ বিভাগের বিপরীতে আসন্ন ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে কোটাসহ সম্ভাব্য সর্বোচ্চ আসন সংখ্যা হতে পারে ১২৪৪, এর মধ্যে বিভিন্ন কোটা হতে ১৩৪ জন ভর্তির সুযোগ পেতে পারেন বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত ২০ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলন করে কর্তৃপক্ষ।
জানানো হয়, এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাব্য ২২ হাজার আসনের বিপরীতে ২ লাখ ৩২ হাজার ৪৫৫ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করেছেন। এর মধ্যে এ-ইউনিটে আবেদন করেছেন ১ লাখ ৩১ হাজার ৯০১ জন, বি-ইউনিটে আবেদন করেছেন ৬৭ হাজার ১১৭ জন ও সি-ইউনিটে আবেদন করেছেন ৩৩ হাজার ৪৩৭ জন পরীক্ষার্থী।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছভুক্ত ভর্তি পরীক্ষার অন্যতম একটি কেন্দ্র। কলা ভবন, বিজ্ঞান ভবন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবন ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের মোট ১২৩ কক্ষে এ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৭ হাজার ৬ শত ৮৮ জন, বি-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৬ হাজার ৪ শত ৯৭ জন এবং সি-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ১ হাজার ৩ শত ৫৪ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে এবারই প্রথম। ভর্তি পরীক্ষার সময় ভর্তিচ্ছুদের হয়রানি লাঘব করার জন্য রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ অভিপ্রায়ে এ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের একটি মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে। এরপর মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দমত তালিকাভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
অন্যদিকে প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয় তাদের আসন সংখ্যার সামর্থের উপর ভিত্তি করে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩ বিভাগে কোটাসহ সম্ভাব্য সর্বোচ্চ আসন সংখ্যা হতে পারে ১২৪৪। এর মধ্যে বিভিন্ন কোটা হতে ১৩৪ জন ভর্তির সুযোগ পেতে পারেন।
গুচ্ছপদ্ধতির এই ভর্তি পরীক্ষায় ২০ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় (১. জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, ত্রিশাল, ময়মনসিংহ ২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা ৩. ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া ৪.শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট ৫. খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা ৬. হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, দিনাজপুর ৭. মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, টাঙ্গাইল ৮. পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী ৯. নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী ১০. কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা ১১. যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর ১২. বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর ১৩. পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা ১৪. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ ১৫. বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল ১৬. রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি ১৭. রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ, সিরাজগঞ্জ ১৮.বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি,বাংলাদেশ, গাজীপুর ১৯. শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোনা ২০.বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জামালপুর)।
দেশব্যাপী একযোগে মোট ২৮ কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করবে। ভর্তি পরীক্ষাগুলো ধারাবাহিকভাবে অনুষ্ঠিত হবে। ইউনিট-এ (বিজ্ঞান) এর ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৭ অক্টোবর, ২০২১ (দুপুর ১২টা থেকে-১টা), ইউনিট-বি (মানবিক) এর ভর্তি পরীক্ষা ২৪ অক্টোবর, ২০২১ (দুপুর ১২টা থেকে-১টা), ইউনিট-সি (বাণিজ্য) এর ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১ নভেম্বর, ২০২১ (দুপুর ১২টা থেকে-১টা) অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর, টেকনিক্যাল উপ-কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সুজন আলী এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবদুল হালিমসহ অন্যান্যরা।
সান নিউজ/এফএইচপি