নিজস্ব প্রতিনিধি (রাবি): শুরু হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) স্নাতক ১ম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। সোমবার (৪ অক্টোবর) ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই ভর্তি যুদ্ধ।
পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে জালিয়াত চক্রগুলো। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কথা বলে ভর্তিচ্ছুদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার তৎপরতা চালাচ্ছে তারা।
জানা যায়, প্রতিবছর ভর্তিচ্ছুদের ভর্তি করাতে নানা অপকৌশল অবম্বলন করে আসছে চক্রগুলো। বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারের পাশাপাশি এক বিশেষ অ্যাপসের মাধ্যমে অ্যাডমিট কার্ডের ছবি পরিবর্তন করে টাকার বিনিময়ে প্রক্সি দেয় চক্রের সদস্যরা। চক্রের সদস্যদের মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও রয়েছে।
আর এ বছর করোনা সংক্রমণের কারণে ভর্তিচ্ছুদের মাস্ক পরে পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। এই সুযোগটিই বেশি ব্যবহার করার চেষ্টা করবে জালিয়াত চক্রের সদস্যরা এমনটাই ধারণা সংশ্লিষ্টদের।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাবিতে প্রক্সি দিতে আসা এক্সাপার্টদের অধিকাংশই ঢাকা থেকে আসেন। তাই সন্দেহভাজন অনেকের উপরেই কঠোর নজরদারি করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক সদস্য বলেন, সন্দেহভাজন অনেকেই আমাদের নজরদারিতে রয়েছে। তালিকায় বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও রয়েছে।
এদিকে, ভর্তি পরীক্ষায় সব ধরনের জালিয়াতি ঠেকাতে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পরীক্ষার দিন ক্যাম্পাস জুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবে। এ ছাড়াও প্রক্টরিয়াল বডিও সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, জালিয়াতি ঠেকাতে গত কয়েক বছর ধরে আমাদের যেই প্রস্তুতি ছিল এ বছরও সেই প্রস্তুতি রয়েছে। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। সবকিছুই এখনো আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।
এ বিষয়ে রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, এখন অবধি আমার দলের কারো সংশ্লিষ্টতার খবর পাইনি। কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সান নিউজ/এমকেএইচ