নিজস্ব প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ: রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের (রবি) সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত, একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দেয়ার অভিযোগে বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে এ সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রাত সাড়ে এগারোটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সোহরাব হোসেনের স্বাক্ষর করা বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়-বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও প্রভাষক ফারহানা ইয়াসমিন কর্তৃক ওই বিভাগের শিক্ষার্থীদের চুল কেটে লাঞ্চিত করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান অস্থিরতা নিরসনে বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে সিন্ডিকেটের ১৬তম বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (অতিরিক্ত দায়িত্বে) আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেট সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর মো. দেলোয়ার হোসেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ন সচিব-৩ নওয়ারা জাহান ও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সোহরাব হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত, একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। তবে তদন্ত সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, সংবিধি, প্রবিধি, নীতিমালা এবং সরকারি কর্মচারি (শৃংখলা ও আপীল) বিধিমালা ২০১৮ অনুযায়ী সাময়িকভাবে বহিস্কৃত ফারহানা ইয়াসমিনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের দাবি, গত রোববার দুপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের প্রথম বর্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরিচিতি বিষয়ের ফাইনাল পরীক্ষার হলে ঢোকার সময় ওই বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন আগে থেকে কাঁচি হাতে পরীক্ষার হলের দরজার সামনে দাড়িয়ে থাকেন।
শিক্ষার্থীরা হলে প্রবেশের সময় যাদের মাথার চুল হাতের মুঠোর মধ্যে ধরা যায়, তাদের মাথার সামনের অংশের বেশ খানিকটা চুল তিনি কাঁচি দিয়ে কেটে দেন। এভাবে একে একে ১৪ জন শিক্ষার্থীর চুল তিনি কাচি দিয়ে কেটে দেন। এরপর পরীক্ষা হলে শিক্ষার্থীদের পরিবার তুলে গালিগালাজ করেন। এতে শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিলে বিষয়টি ব্যাপক ভাইরাল হয়।
সান নিউজ/এফএইচপি