নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে দীর্ঘ ১৮ মাস যাবত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ রয়েছে। সরকারি ৫১টি ও ১০৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় অধিভুক্ত ২২৫৮টি কলেজ, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সহ উচ্চশিক্ষায় ৪১ লাখ শিক্ষার্থী থাকলেও টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন মাত্র ১৮ লাখ।
এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দিতে নানা তৎপরতা চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। আবাসিক হলগুলো ধুয়ে-মুছে সাফ করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিতে প্রস্তুত হচ্ছে তাদের বিভাগ ও আবাসিক হলগুলো। বিভিন্ন সেমিস্টার ও চূড়ান্ত পর্বের পরীক্ষাগুলোর রুটিন নির্ধারণের কাজ করছেন সংশ্নিষ্ট ডিন ও বিভাগীয় প্রধানরা। স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে নেওয়া হয়েছে নানা ব্যবস্থা। তবে করোনাভাইরাসের টিকার নিবন্ধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার কথা বলা হলেও সে কাজে এখনও রয়ে গেছে বড় ধরনের ঘাটতি। এখন পর্যন্ত অর্ধেক সংখ্যক শিক্ষার্থীরই নিবন্ধন সম্পন্ন হয়নি। এর মধ্যে প্রথম ডোজ টিকা নিতে পেরেছে মাত্র সাড়ে ১২ শতাংশ। দুই ডোজ সম্পন্ন হয়েছে আরও কম শিক্ষার্থীর।
কর্তৃপক্ষ বলছে, যারা টিকা পাননি, বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রগুলোতেই তাদের টিকাদানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর আগে উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছিলেন, টিকাদান নিবন্ধনের কাজ শেষ করে ২৭ অক্টোবরের পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চাইলে তাদের প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারবে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে জানা গেছে, উচ্চশিক্ষার জন্য অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৪১ লাখ। এর মধ্যে ৫১ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় তিন লাখ। আর ১০৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী প্রায় চার লাখ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত দুই হাজার ২৫৮টি কলেজে শিক্ষার্থী প্রায় ২৮ লাখ; উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় পাঁচ লাখ। আর আরবি বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রয়েছেন আরও প্রায় এক লাখ শিক্ষার্থী।
ইউজিসির তথ্যমতে, গত সপ্তাহ পর্যন্ত এসব শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় ১৮ লাখ করোনা টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন প্রায় পাঁচ লাখ বা সাড়ে ১২ শতাংশ। আর দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন এক লাখের মতো শিক্ষার্থী, যার মধ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের শিক্ষার্থী প্রায় ৮০ হাজার।
সান নিউজ/এফএআর