নিজস্ব প্রতিবেদক: মাধ্যমিকের একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে খুলছে ঢাকা কলেজের ছাত্রাবাস। ওই দিন বিকেল ৩টা থেকে শিক্ষার্থীরা তাদের জন্য বরাদ্দ করা সিটে উঠতে পারবে।
শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার ও উপাধ্যক্ষ প্রফেসর এ.টি.এম মইনুল হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রকাশিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রদের হলে ওঠার জন্য প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ আনুষ্ঠানিক ছাড়াও আরও কিছু শর্ত মানতে বলা হয়েছে। শর্ত অনুযায়ী ছাত্ররা আরটিপিসিআর পরীক্ষার নেগেটিভ ফলাফলের প্রমাণপত্র কর্তৃপক্ষকে দেখিয়ে হলে উঠতে পারবে। এছাড়াও হলে ওঠার জন্য তাদের মানতে হবে করোনা ও ডেঙ্গু প্রতিরোধক স্বাস্থ্যবিধি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) নির্দেশনার পাওয়ার পর ঢাকা কলেজ ছাত্রাবাস কমিটি ও শিক্ষকদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের জন্য হল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে নির্দেশনা অনুযায়ী শুধুমাত্র উচ্চমাধ্যমিকের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির আবাসিক শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করতে পারবে। এজন্য বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য নির্দেশনা:
১. ২৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কলেজ আইডি কার্ডের ফটোকপি, আরটি-পিসিআর পরীক্ষার নেগেটিভ ফলের সার্টিফিকেট স্ব স্ব হল তত্ত্বাবধায়কের নিকট জমা দিতে হবে।
২. ২৮ সেপ্টেম্বর ছাত্রাবাসের সিট রেন্ট ও সার্টিফিকেট জমাদানকারী ছাত্রদের নির্ধারিত কক্ষে সিট বরাদ্দ দেওয়া হবে।
৩. ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেল তিনটা থেকে ছাত্ররা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ছাত্রাবাসের নির্ধারিত কক্ষে অবস্থান করতে পারবে।
একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য নির্দেশনা:
১. সিটের জন্য আবেদনকৃত ছাত্রদের সিট বরাদ্দের ফল ও ছাত্রাবাসে অবস্থানের নিয়মাবলী ২ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।
২. ৩-৬ অক্টোবরের মধ্যে সিট বরাদ্দপ্রাপ্ত ছাত্রদের কোভিড-১৯ পরীক্ষার নেগেটিভ সার্টিফিকেট স্ব স্ব ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়কের কাছে জমা দিতে হবে এবং সিট রেন্ট নগদ, বিকাশ অথবা রকেট এর মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে।
৩. ৭ অক্টোবর সিট রেন্ট ও সার্টিফিকেট জমাদানকারী ছাত্রদের ছাত্রাবাসের নির্ধারিত কক্ষে বরাদ্দ দেওয়া হবে।
৪. ৮ অক্টোবর বিকেল তিনটা থেকে সিট বরাদ্দপ্রাপ্ত ছাত্ররা স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্ব স্ব কক্ষে অবস্থান করতে পারবে।
তবে করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে গেলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে ছাত্রদের হল ছাড়তে হবে বলেও ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
তবে অনার্স ও মাস্টার্স শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ছাত্রাবাস খোলার বিষয়টি সরকারি সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার। এক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খোলা সংক্রান্ত নীতিও অনুসরণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সান নিউজ/এনএএম