নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীতে শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ২১টি নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। একই সময়ে একাধিক পরীক্ষার আয়োজন করায় শিক্ষার্থীরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এতে অভিভাবকরাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাস মহামারীর রূপ ধারণ করায় স্থগিত হওয়া নিয়োগ পরীক্ষাসহ বেশ কয়েকটি ব্যাংকের প্রবেশনারি পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে আজ। পরীক্ষাগুলো ঢাকার বিভিন্ন কেন্দ্রে দুই শিফটে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
শেরেবাংলা নগর এলাকার দুটি পরীক্ষার কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, শেরে বাংলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এনএসআই ওয়াচার কনস্টেবল পদের পরীক্ষা।
বিদ্যালয়টিতে আসা পরীক্ষার্থী মেহেদি হাসান বলেন, সারাদিনে তার পাঁচটি পরীক্ষার তারিখ পড়েছে। সে দুটি পরীক্ষা চাইলেও দিতে পারছেন না বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, 'বাধ্য হয়ে ওয়াচার কনস্টেবল পদে পরীক্ষা দিচ্ছি। একই সময়ে শুরু হওয়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের কম্পিউটার অপারেটর পদের পরীক্ষাটি বাদ দিতে হচ্ছে। একইভাবে বিকেল ৩টা ও সাড়ে ৩টায় রয়েছে আরও দুটি পরীক্ষা। বিকেলের শিফটে সাড়ে ৩টার পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি থাকলেও বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের মিটার টেস্টার পদের নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া যাচ্ছে না।'
তিনি আরও বলেন বলেন, পরীক্ষা আয়োজনের ক্ষেত্রে সমন্বয় থাকা উচিত ছিল। সমন্বয়হীনতার কারণে টাকা খরচ করে ঢাকায় এসেও সব পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছি না।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এক পরীক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, সকাল এগারোটায় মেয়ের ইউসিবি ব্যাংকে অনলাইনে পরীক্ষা ছিল। সেটা বাদ দিয়ে মেয়েকে নিয়ে এখানে এসেছি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের কম্পিউটার অপারেটর নিয়োগের পরীক্ষার জন্য।
সান নিউজ/এমএইচ