নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ে চার দফা দাবিতে দীর্ঘ ৩ ঘণ্টা অবরোধ করে রাখার পর প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নিয়েছেন ঢাবি অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এতে ওই এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
রোববার (২৯ আগস্ট) সকাল ১১টা থেকে চলা অবরোধ দুপুর ২টায় তুলে নেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এর আগে সাত কলেজের সমন্বয়ক ও ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আইকে সেলিম উল্লাহ খোন্দকারের সঙ্গে তার কার্যালয়ে চার দফা দাবির বিষয়ে কথা বলেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের চার জন প্রতিনিধি।
আলোচনায় সাত কলেজ সমন্বয়ক দ্রুত বিশেষ পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করলে অবরোধ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন শিক্ষার্থীরা।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন আন্দোলনের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল নোমান।
তিনি বলেন, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ স্যার আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন যে সুবিধাজনক সময়ে আমাদের গণহারে অকৃতকার্য বিষয়ে বিশেষ পরীক্ষা নেওয়া হবে। শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে। তাই আমরা আপাতত অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছি।
অপরদিকে, শিক্ষার্থীদের অবরোধ তুলে নেওয়ার পর স্বাভাবিক হয় এই এলাকার যান চলাচল। ঘটনাস্থলে দায়িত্ব পালনরত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ধানমন্ডি জোনের অতিরিক্ত সহকারী পুলিশ কমিশনার ইহসানুল ফেরদৌস বলেন, সকাল থেকে সড়ক অবরোধের পর শিক্ষকদের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যেই নীলক্ষেতের অবরোধ ছেড়ে দিয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুততম সময়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করে দেওয়ার।
আন্দোলনের বিষয়ে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ও সাত কলেজের সমন্বয়ক অধ্যাপক আইকে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। এখন পর্যন্ত বাকি ছয়টি কলেজ থেকে আলাদা আলাদাভাবে শিক্ষার্থীদের ফলাফলের হিসাব এবং কোনো প্রস্তাবনা আমি পাইনি।
তারা (আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা) অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের যে সংখ্যাটি বলছে সেটি আদৌ কতটুকু নিশ্চিত সংখ্যা সেটিও আমার জানা নেই। সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে আমরা বারবার বলছি সংশ্লিষ্ট কলেজ এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগে যোগাযোগ করতে এবং তাদের প্রস্তাবনা পাঠাতে। যেন আমরা সেটি বিশ্লেষণ করে একটি চূড়ান্ত প্রস্তাবনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পাঠাতে পারি।
উল্লেখ্য, সাত কলেজের স্নাতক ২০১৫-১৬ সেশনের গণহারে ফেলের কারণ উন্মোচন, ফলাফল প্রকাশে দীর্ঘসূত্রিতা পরিহার করাসহ মোট চার দফা দাবিতে মিরপুর রোডের নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেন তারা।
দাবিসমূহ হলো-
১. চতুর্থ বর্ষের অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের খাতা সঠিক ভাবে পুনঃমূল্যায়ন করতে হবে অথবা শিক্ষার্থীদের জন্য ১০ দিনের মধ্যে বিশেষ পরীক্ষার নোটিশ প্রদান করতে হবে।
২. সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্তৃক ক্লাস যাচাই।
৩. শিক্ষার্থীদের যেকোনো ধরনের একাডেমিক সমস্যা নিজ কলেজের মাধ্যমে সমাধান করা।
৪. সকল বিভাগের ফলাফল একত্রে প্রকাশ এবং বিভিন্ন বিভাগের আটকে থাকা পরীক্ষার ফলাফল আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে।
সাননিউজ/এএসএম