নিজস্ব প্রতিবেদক: গুচ্ছভুক্ত ২০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত আবেদন শুরু হবে আগামী ১ সেপ্টেম্বর। গত শনিবার রাতে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের এক ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
প্রাথমিক তালিকায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ১ হাজার ২০০ টাকা জমা দিয়ে ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত আবেদন করতে পারবেন।
বিজ্ঞান বিভাগের প্রাথমিক মেধা তালিকা থেকে ১ লাখ ৩১ হাজার শিক্ষার্থী চূড়ান্ত আবেদন করার সুযোগ পাবেন। তারা প্রথম সাত দিনে আবেদন না করলে দ্বিতীয় ও তৃতীয় মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় মেধাতালিকার শিক্ষার্থীরা চূড়ান্ত আবেদনের জন্য তিন দিন করে সময় পাবেন। তবে মানবিক ও বাণিজ্যের প্রাথমিক আবেদনকারী প্রত্যেক শিক্ষার্থী চূড়ান্ত আবেদন করতে পারবেন।
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর জানান, এ ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তির জন্য প্রাথমিক আবেদন করেছেন তিন লাখের বেশি শিক্ষার্থী।
প্রাথমিক আবেদনের ফল কবে দেয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, টেকনিক্যাল কমিটি বসে আমরা সিদ্ধান্ত নেব যে, ফলাফলটা ওয়েবসাইটে দেব নাকি এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেব। আর রেজাল্ট যেহেতু পাস হয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য যদি মনে করেন; আপ করে দিতে পারেন। যেহেতু রেজাল্ট উনার কাছে আছে।
অক্টোবরে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
তথ্যমতে, দেশের ২০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রাথমিকভাবে আবেদন করেছেন ৩ লাখ ৬০ হাজার ৪০৬ জন শিক্ষার্থী। এ প্রাথমিক আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে যেসব শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন তাদের তালিকা ইতোমধ্যেই প্রস্তুত করা হয়েছে এবং এ মাসের মধ্যে উত্তীর্ণদের মোবাইলে বার্তার মাধ্যমে জানানো হবে ফল।
পরবর্তী ধাপ তথা চূড়ান্ত আবেদন ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। তবে পরীক্ষার ফি ৬০০ টাকা থেকে বেড়ে দ্বিগুণ অর্থাৎ ১ হাজার ২০০ টাকা করা হয়েছে বলে শেয়ার বিজকে জানিয়েছেন গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য মোনাজ আহমেদ নূর।
ভর্তি পরীক্ষা কবে অনুষ্ঠিত হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে যত দ্রুত সম্ভব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী অক্টোবরের মধ্যেই সশরীরেই এ পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
উল্লেখ্য, এ বছর প্রথমবারের মতো ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে। প্রথমদিকে ১৯ জুন বিজ্ঞান, ২৬ জুন মানবিক ও ৩ জুলাই বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নিতে তারিখ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় এটা স্থগিত করা হয়। এছাড়া প্রাথমিক আবেদনের সময়সীমা গত ২৫ জুন শেষ হয়।
যে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভিত্তিতে ভর্তির সিদ্ধান্ত হয়েছে সেগুলো হলো-জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
সান নিউজ/এফএআর