নিজস্ব প্রতিবেদক: ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির তালিকা থেকে বাদ পড়া ১৯ জমজ শিশুকে ভর্তি করে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি রিট মামলার শুনানি করে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
চলতি শিক্ষাবর্ষে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার জন্য যারা আবেদন করেছিল, তাদের মধ্যে ১৯ জোড়া জমজ শিশু ছিল। লটারি শেষে স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রত্যেক জোড়া থেকে একজন করে ভর্তির সুযোগ দিলেও অন্যজন বাড় পড়ে।
এ নিয়ে অভিভাবকরা ১৯ শিশুর ভর্তির বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ ভর্তি নেবে না জানিয়ে দিলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে ৭ দিনের মধ্যে ভর্তির নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করা হয়।
বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাড়া না পেয়ে গত রোববার হাই কোর্টে রিট করেন অভিভাবকরা। সেখানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না’ তা জানতে রুল চাওয়া হয়।
অভিভাবকদের আইনজীবী তাসমিয়া প্রধান বলেন, জমজ শিশুদের সুস্থ মানসিক বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য একসঙ্গে থাকা খুবই জরুরি। কারণ, তাদের চাওয়া পাওয়া প্রায় একইরকম।
আমার নিজেরও জমজ বাচ্চা আছে। আমি দেখেছি, তাদেরকে যদি আলাদা কিছু দেওয়া হয় বা আলাদা পরিবেশে রাখা হয়, তারা মানসিক সমস্যায় ভোগে।
তিনি জানান, জমজ শিশুর ভর্তির বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং হাই কোর্টের নির্দেশনা আছে। এর আগেও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ভিকারুননিসায় জমজ শিশুদের ভর্তি করানো হয়েছে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার বলেন, ভর্তির নির্দেশনার পাশাপাশি আদালত রুলও জারি করেছেন।
রুলে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রথম শ্রেণিতে ১৯ জমজ শিশুর ভর্তি না নেয়ার সিদ্ধান্ত এবং এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘নিষ্ক্রিয়তা’ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছ।
শিক্ষা সচিব, ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে জানান আইন কর্মকর্তা বিপুল বাগমার।
তবে আদালত কতদিনের মধ্যে ভর্তি নিতে বলেছেন বা ভর্তি নেয়ার আদৌ কোনো সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন কিনা আদেশ না দেখে তা তিনি বলেতে পারেননি।
সান নিউজ/এফএআর