নিজস্ব প্রতিবেদক, কুষ্টিয়া : আবারও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক হলে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এর আগে তিনটি আবাসিক ছাত্র হল ও একাডেমিক ভবনে চুরির ঘটনা ঘটে।
শনিবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের খালেদা জিয়া হলের গ্রিল কেটে চুরি করা হয়েছে বলে জানা যায়। হলের দক্ষিণ ব্লক বা পুরাতন ব্লকের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তলার নয়টি কক্ষের জিনিসপত্র চুরি হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে হল প্রশাসন। এছাড়া হলের ডাইনিং থেকে অন্তত ছয়-সাতটি বেসিনের কল চুরি হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, করোনার কারণে আবাসিক হলগুলো বন্ধ থাকায় হলের কাজ চলছিল। অন্যান্য দিনের মতোই শ্রমিকরা কাজে এলে হলের নিচতলার বারান্দার গ্রিল ভাঙা দেখতে পান। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে খবর দেন তারা।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হলের নিরাপত্তাকর্মীরা জানান, প্রাচীর টপকে গ্রিল ভেঙে হলের ডাইনিংয়ে ঢোকে চোর। কক্ষের সামনে তালাগুলো পড়ে থাকতে দেখা যায়। এছাড়া কক্ষের ভেতরে জিনিসপত্র এলোমেলো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তবে হল বন্ধ থাকায় কী কী জিনিস চুরি হয়েছে তা সঠিকভাবে জানা যায়নি।
চুরি হওয়া কয়েকটি কক্ষের ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের রুমে সনদ, গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, ফ্যান, জামা-কাপড়, ট্রাঙ্ক, রাইসকুকারসহ রান্নার আসবাবপত্র ছিলো। তবে হলে না থাকায় কী কী হারিয়েছে তা বলতে পারেননি তারা। হলের নিরাপত্তা জোরদার করতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডল বলেন, তদন্তের পরই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
রোববার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আলমগীর হোসেন ভু্ইঁয়া, প্রক্টর অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন ও ইবি থানা পুলিশ।
প্রক্টর অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তবে কী হারিয়েছে তা মেয়েদের সঙ্গে কথা না বললে বোঝা যাচ্ছে না। হল কর্তৃপক্ষকে সংশ্লিষ্ট মেয়েদের সঙ্গে কথা বলতে বলেছি।’
ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টির খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সাননিউজ/এমএইচ