নিজস্ব প্রতিবেদক: জালিয়াতি ধরা পড়ায় ভোলার লালমোহন উপজেলার ‘লালমোহন ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার এমপিও স্থগিত করেছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতর। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির এমপিও কেনও স্থায়ীভাবে বাতিল করা হবে না এবং ফৌজদারি অপরাধের জন্য গভর্নিং বডির সভাপতি ও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী ৮ আগস্টের মধ্যে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দাখিল করতে হবে।
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতরের অফিস আদেশে বলা হয়, ‘মহাপরিচালকের প্রতিনিধি মনোনয়নে জালিয়াতি করে লালমোহন কামিল মাদরাসায় চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয় গত বছর ২৫ ডিসেম্বর। অবৈধভাবে নিয়োগ সম্পন্ন করে গত জুলাই মাসে অনলাইনে এমপিওভুক্তির আবেদন পাঠানো হয় মাদরাসা থেকে।
এমপিওর জন্য পাঠানো ওই আবেদন যাচাই করে দেখা যায়, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে ১৫ ডিসেম্বর নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠানের জন্য মহাপরিচালকের প্রতিনিধি মেনোনয়ন দেয়া হয়। নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হয় ২৫ ডিসেম্বর। চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে কথিত প্রতিনিধি তৈরি করে অবৈধভাবে নিয়োগ দেয়া হয় এবং অনলাইনে এমপিও আবেদন করা হয়, যা সুস্পষ্ট জালিয়াতি।
এর আগে সহকারি গ্রন্থাগারিক নিয়োগেও এমন ধরনের জালিয়াতি ধরা পড়ায় গত ২৬ জুলাই ৫টি দাখিল মাদরাসার এমপিও স্থগিত করে মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতর। এমপিও স্থগিত হওয়া মাদরাসাগুলো হচ্ছে— ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার উত্তর চরমানিকা লতিফিয়া দাখিল মাদরাসা, আমিনাবাদ হাকিমিয়া দাখিল মাদরাসা, দক্ষিণ আছলামপুর মোবারক আলী দাখিল মাদরাসা, ভোলার লালমোহন উপজেলার কুন্ডের হাওলা রশিদিয়া দাখিল মাদরাসা এবং ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার আছলামপুর মোহাম্মদিয়া দাখিল মাদরাসা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনার মধ্যে গভর্নিং বডি এই অবৈধ নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করে।
সান নিউজ/এফএআর