নিজস্ব প্রতিবেদক:
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে সাধারণ ছুটির আওতায় বন্ধ রয়েছে সকল স্কুল-কলেজ। তবে শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে অনলাইনে ক্লাস পরিচালনা শুরু করেছে।
এমন অবস্থায় করোনাকালীন এই সময়ে অনলাইনে লাইভ ক্লাস শুরুর অনুমতি চায় কোচিং সেন্টারগুলো। একই সঙ্গে সরকারের কাছে আর্থিক অনুদানও চেয়েছেন তারা। রবিবার (৩ মে) কোচিং সেন্টার মালিকদের সংগঠন 'অ্যাসোসিয়েশন অব শ্যাডো এডুকেশন বাংলাদেশ' এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর লিখিত আবেদন জমা দেন।
সংগঠনের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইমাদুল হক (ই হক স্যার) স্বাক্ষরিত আবেদনে বলা হয়, "ভয়াল করোনার কারণে শিক্ষা ব্যবস্থাও আজ সমস্যার মুখোমুখি। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। বন্ধ রয়েছে শিক্ষা সেবা দানকারী ছায়াশিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ। এমতাবস্থায় শিক্ষা ব্যাবস্থায় গতি সঞ্চার ও শিক্ষার্থীদের পড়া লেখার ক্ষতি পূরণে ছায়া শিক্ষা সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান সমূহের সংগঠন 'অ্যাসোসিয়েশন অব শ্যাডো এডুকেশন বাংলাদেশ' হতে পারে বিশেষ সহায়ক শক্তি। অবিলম্বে সংসদ টেলিভিশনের পাশাপাশি আমাদের সংগঠনটিকে অনলাইন লাইভ ক্লাসের অনুমতি দিলে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের পাশাপাশি প্রশ্নোত্তর পর্বও চলমান রাখা সম্ভব। যা অনেকাংশে ক্লাস রুমে বসে ক্লাস করার মতোই হবে।"
আবেদনে আরো বলা হয়, "অন্যান্য সকল ক্ষেত্রের ন্যায় শিক্ষাক্ষেত্রে যে ঈর্ষণীয় সাফল্য এসেছে তাতে এদেশের প্রায় লক্ষাধিক ছায়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও জড়িত। ক্লাসের বাইরে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করে যাচ্ছে এই ছায়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। বছরের একটা দীর্ঘ সময় স্কুল, কলেজ বন্ধ থাকে এবং সময় স্বল্পতার কারণে সিলেবাস শেষ করা সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে উক্ত ছায়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। যেখানে কর্মরত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের দরিদ্র ও মেধাবী কয়েক লক্ষ শিক্ষার্থী। যারা দরিদ্র পিতা-মাতাকে চাপ না দিয়ে নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে পারছে নিজেদের পড়াশুনার খরচ। আমরা বিশ্বাস করি আপনি (প্রধানমন্ত্রী) এ সমস্ত বিষয়ে অবগত আছেন।
ছায়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ভাড়া বাসায় ও শতভাগ নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত। এই করোনা নামক মহামারীর কারণে দেশের প্রায় লক্ষাধিক ছায়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের পথে। যেখানে কর্মরত প্রায় অর্ধ কোটি মানুষ। যদি এইভাবে এই প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন বন্ধ রাখতে হয় তাহলে আপনার সহযোগিতা ছাড়া পুনরায় চালু করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। "
অন্যান্য ক্ষেত্রের ন্যায় ব্যক্তিমালিকানাধীন এই ছায়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকরাও প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি ও আর্থিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।