ইবি প্রতিনিধি: শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল ফি, পরিবহন ও বিভাগীয়সহ সকল প্রকার ফি মওকুফের দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্র মৈত্রী।
সোমবার (২৮ জুন) উপচার্যের পক্ষে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভুইঁয়া এ স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
স্মারকলিপিতে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনায় সারাদেশের নাগরিকদের মত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবার অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত। এছাড়া ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী অনাবাসিক হওয়ায় তারা ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী, কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ এলাকায় মেস, বাসাভাড়া নিয়ে অবস্থান করে। বর্তমান পরিস্থিতিতে মেসে বা বাসায় অবস্থান না করেও তাদের ভাড়া পরিশোধ করতে হচ্ছে।
এদিকে প্রায় দেড় বছর ধরে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় আবাসিক শিক্ষার্থীরাও হলে অবস্থান করেনি। একইসাথে শিক্ষার্থীরা পরিবহন সেবাও গ্রহণ করেনি। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ তাদের চূড়ান্ত পরীক্ষা গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতি শিক্ষার্থীদের সকল প্রকার ফি দিয়ে পরীক্ষায় বসতে হবে। যা শিক্ষার্থীদের মরার উপর খাড়ার ঘা। ফলে দেশে বিদ্যমান এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের থেকে হল, পরিবহন ও বিভাগীয়সহ আনুসাঙ্গিক সকল ফি আদায় করা সমীচীন নয়। আমারা চাই শিক্ষার্থীদের উপর সকল প্রকার ফি মওকুফ করে পরীক্ষাসমূহ নেয়া হোক।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামর্থ্য অনুযায়ী আনুষাঙ্গিক সকল ফি কমানো হবে জানিয়ে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া জানান, ফি মওকুফের দাবিটি যৌক্তিক। বিষয়টি নিয়ে উপাচার্য স্যারের সাথেও কথা হয়েছে। স্যার বিষয়টি নিয়ে পজিটিভলি ভাবছেন। শিক্ষার্থীদের টিউশিন ফি মওকুফ না করার ব্যাপারে যৌক্তিকতা দেখানো যায় কেননা তাদের ক্লাস হয়েছে। তবে পরিবহন ও হল তারা পুরো ব্যবহার করেনি। তাই পুরো ফি মওকুফ করতে না পারলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের সামর্থ্য অনুযায়ী কনসিডার করা হবে। এক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ মওকুফ করলেও শিক্ষার্থীদের অনেকটা চাপ কমবে।
সান নিউজ/ আরএস