নিজস্ব প্রতিনিধি, হাবিপ্রবি : পরীক্ষা শুরু ঘোষণায় হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) এসেছিলো শিক্ষার্থীরা। কিন্তু করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে দিনাজপুর সদর উপজেলায় লকডাউনের ঘোষণা দেয়া হয়। এতে করে গত ২১ জুন পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত পূর্ব ঘোষিত সকল পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শনিবার (২৬ জুন) সারাদেশে কঠোর লকডাউনের কারণে পরিক্ষা নেয়া সম্ভব নয় বলে আবারও নোটিশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রায় আট হাজার শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসেই আটকা পড়েছে।
প্রথমদিকে পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ হওয়ায় হল শিক্ষার্থীরা মাস চুক্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে দিনাজপুর শহরের বিভিন্ন মেসে উঠে। বন্ধ থাকায় মেসগুলোতে উঠতে বাধ্য হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক-অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা। সারাদেশের বেশিরভাগ জেলা লকডাউনের আওতায় থাকায় বাড়ি ফেরা নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়েছে তাদের। এছাড়া দিনাজপুর শহর থেকে বিভিন্ন জেলায় সব ধরনের গণপরিবহনও বন্ধ রয়েছে।
পরীক্ষা দিতে আসা ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুর রহমান বলেন, পরীক্ষা ঘোষণার পর রুটিন দেখে নোয়াখালী থেকে আসলাম। পরীক্ষার প্রস্তুতিও নিচ্ছিলাম। হঠাৎ পরীক্ষার দুইদিন আগে শুনলাম পরীক্ষা স্থগিত। এখন দিনাজপুর শহরে লকডাউন চলছে। বাস-ট্রেন সব বন্ধ। বাড়িতে যেতে পারছি না। আবার মেসে থেকে খরচ বাড়ছে। এজন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, অন্তত ঢাকা পর্যন্ত যেন আমাদের যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা করে।
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ঘোষণা দিয়েছিলো লকডাউনেও পরিক্ষা হবে। নিশ্চিত হয়েই আমরা ক্যাম্পাসে এসেছিলাম। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আজকের নোটিশ আমাদের ভোগান্তিতে ফেলে দিয়েছে। আমরা না পারছি বাড়ি ফিরতে, না পারছি থাকতে। এই ভোগান্তির দায় কে নেবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন উপাচার্য অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র হালদার বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করবো তারা যেন দ্রুত বাড়ি ফিরে যায়। আর শিক্ষার্থীরা যেনো সেশন জটে না পড়ে সেজন্য আমরা অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার চিন্তাভাবনা করছি। ইতোমধ্যে কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রওশন আরাকে আহবায়ক এবং ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসাইন সরকারকে সদস্য সচিব করে একটি কমিটি করা হয়েছে। তারা অনলাইনে পরীক্ষা কিভাবে নেয়া যায়, সে ব্যাপারে একটি রিপোর্ট জমা দেবে। তার আলোকেই আমরা অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেব।
লকডাউনে ক্যাম্পাসে আটকে থাকা শিক্ষার্থীদের বাসায় পৌঁছে দেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সেবা ব্যবহার করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, এটা সম্ভব নয়।
সাননিউজ/এমএইচ