সান নিউজ : স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের শতভাগ উপস্থিতিতে পরীক্ষা নিচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সপ্তম সেমিস্টারের পরীক্ষা। করোনার এই সময় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়েছে প্রায় দেড় বছর।
শিক্ষার্থীরা জানান,'শিক্ষকরা খুব সহযোগীতা করেছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নিয়েছেন। শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে আমরা পরীক্ষা দিতে সফল হয়েছি।'
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন বলেন,'এই পরীক্ষার পর একটা টার্মিনাল ডিগ্রি পাবে তারা। আর একটা সেমিস্টার বাকি থাকবে। সেটা আমরা ঈদের পর নিয়ে নিব যাতে তারা কর্মজীবনে প্রবেশ করতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির নির্দেশনায় এবং আমরাদের একাডেমিক কমিটির সিদ্ধান্তে এই পরীক্ষা গত ২০ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে।'
কেউ মেসে, কেউবা স্বজনদের বাসায় থেকে অংশ নিচ্ছেন পরীক্ষায়। প্রত্যেকের সাথে কথা বলে আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করেই এই পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিভাগটি। অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন আরও বলেন,'আমাদের চারজন মেয়ে যাদের ঢাকাতে থাকার কোন জায়গা নাই। এই চারজনকে আমরাদের দুজন শিক্ষকের বাসায় থাকার ব্যবস্থা করে পরীক্ষায় অংশ নেয়ার ব্যবস্থা করেছি।'
শিক্ষকরা বলছেন, কোনো বিভাগ চাইলেই এ উদ্যোগ নিতে পারে। শিক্ষার্থীদের কর্মজীবনের কথা মাথায় রেখে অনলাইনে ক্লাসের পাশাপাশি একাডেমিক কার্যক্রম এগিয়ে নেয়া সম্ভব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ অধ্যাপক ড. আবদুস সবুর খান বলেন,'শুধুমাত্র সদিচ্ছা দরকার। আমরা শুরু করলাম। আশাকরি অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় এটা অনুসরণ করবে।'
বিভাগের অষ্টম সেমিস্টারের কোর্স অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে শেষ করা হয়েছে। সপ্তম সেমিস্টারের পরীক্ষা শেষে হলে দ্রুত পরের সেমিস্টারের পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
সান নিউজ/এসএম