নিজস্ব প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ : চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে কর্মচারীরা। বুধবার (১৬ জুন) বেলা ১১টা থেকে গেটে তালা ঝুলিয়ে অবরুদ্ধ করে আন্দোলন করে তারা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করছে। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অবরুদ্ধ আছেন উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার।
বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব বলেন, বুধবার বেলা ১১টার দিকে আমার ও রেজিস্ট্রারের দফতরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। পুলিশ প্রশাসন এসেছে। তারা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলছেন।
তিনি বলেন, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. খন্দকার নাসিরউদ্দিন এ সমস্যা সৃষ্টি করে রেখে গেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অবৈধভাবে কিছু লোককে কাজ দিয়েছেন। তাদের কোনো নিয়োগ বা অফিস আদেশ নেই। দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কিছু টাকা তাদের দিতেন। আমি যোগদানের পর এদের মধ্য থেকে যারা হতদরিদ্র তাদের দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কিছু টাকা দিয়েছি। এত লোক আমাদের এখানে প্রয়োজন নেই। আমরা কীভাবে তাদের কাজে লাগাব।
তিনি আরও বলেন, আন্দোলনকারীরা মনে করেছেন জুন মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু নিয়োগ আসতে পারে। তাই তারা নিয়োগ পাওয়ার জন্য এ আন্দোলন করছে। এখানে যদি কোনো লোক প্রয়োজন হয় তা আমরা স্বচ্ছতার সঙ্গে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যাব। এত লোক আমরা নিতে পারব না।
আন্দোলনকারী মাসফিকুর রহমান বলেন, গত ১৩ মাস ধরে আমরা আন্দোলন করেছি। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের সময় বলেছেন, আমি রুটিন দায়িত্ব পালন করছি। আমার নিয়োগ দেয়ার ক্ষমতা নেই। উপাচার্য নিয়োগ দিলে আমাদের একটা ব্যবস্থা হবে।
তিনি আরও বলেন, এ বছর ২ জুন থেকে আমরা দৈনিক মজুরিভিত্তিক ১৩২ জন আন্দোলন করে আসছি। ১২ জুন আমরা রেজিস্ট্রার স্যারের পায়ে ধরেছি। অথচ তিনি একটুও সদয় হননি। সেই কারণে উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের দফতর তালাবন্ধ করে রেখেছি। আমাদের দাবি মানা না হলে স্যারদের অবরুদ্ধ থাকতে হবে।
গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিহাদ আদনান তাইয়ান বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেছি। বর্তমানে আমাদের একটি টিম সেখানে অবস্থান করছে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাদের মধ্যে আন্দোলন চলছে। আলোচনা শেষে একটা ভালো ফলাফল আসবে বলে আশা করছি।
সান নিউজ/এমএইচ