নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ছাত্রদলের ওপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (১ জুন) সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) এ ঘটনা ঘটে। এতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনসহ ছাত্রদলের ১৫-২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ঢাবি ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আখতার হোসেন। তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাকিব ইসলাম বলেন, জিয়াউর রহমানের শাহাদৎ বার্ষির্কী উপলক্ষে টিএসসিতে শিক্ষা ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি ছিল। আমাদের নেতাকর্মীরা টিএসসিতে অবস্থান করলে ছাত্রলীগের সহসভাপতি মিজানুর রহমান পিকুলের নেতৃত্বে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমাদের প্রায় ২০ জন আহত, ৬ জন ঢাকা মেডিকেলের ইমার্জেন্সিতে ভর্তি রয়েছে। আমাদের খাদ্য ও শিক্ষা সামগ্রীগুলোরও হাদিস নেই।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, ঢাবির যুগ্ম-আহ্বায়ক শাহজাহান শাওন, মুজিব হল ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব রুবেলসহ প্রায় ১৫-২০ জনের মতো আহত হয়েছেন বলেও জানান তিনি।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা ও এসএম হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি খান মিলন হোসাইন নীরব। তাদের বিরুদ্ধেও হামলায় অংশ নেওয়ার অভিযোগ করেন ঢাবি ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আখতার হোসেন।
এ বিষয়ে খান মিলন হোসাইন নীরব বলেন, জিয়াউর রহমান একজন খুনি, তার কর্মসূচি পালন করতে এসেছিল ছাত্রদল। সেখানে আমাদের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মনে হয় একটু ঝামেলা হয়েছিল, তাই তারা ক্ষিপ্ত হয়েছিল। পরে একটু হাতাহাতি হয়। ওখানে বেশিরভাগই উত্তর-দক্ষিণের নেতাকর্মী ছিল। ওরা হয়ত বুঝে উঠতে পারেনি।
হামলার ঘটনা অস্বীকার করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা কয়েকদিন ধরে দেখতে পাচ্ছি- সামরিক শাসক, অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী মেজর জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীকে কেন্দ্রে করে ছাত্রদল রীতিমতো সন্ত্রাস শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল, উপদলীয় কোন্দল বৃদ্ধি পেয়েছে। এর বহিঃপ্রকাশ হিসেবে আজ তারা নিজেদের মধ্যে ঘটনাটা ঘটিয়েছে। আমরা মনে করি, এটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশের ওপর একটি আঘাত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ। পূর্ব অনুমিত ছাড়া তাদের (ছাত্রদল) এ ধরনের অপকর্ম এবং স্বেচ্ছাচারী কাজের দায় বিশ্ববিদ্যালয় নেবে না। তাদেরই নিতে হবে।
সান নিউজ/এসএম